প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৪৫:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
আজিজ উদ্দিন:
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ রূপালী ইলিশের প্রধান প্রজনন কাল কে ঘিরে ইলিশ মাছের নিরাপদ প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী (৭-২৮) অক্টোবর’২২ অর্থাৎ (২২আশ্বিন-১২কার্তিক) ১৪২৯বাংলা পর্যন্ত কুতুবদিয়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের গভীর সাগরে ইলিশ ধরার উপর প্রতি বছরের ন্যায় মোট ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যাবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মূলত এই সময় কে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়।
সরকার ঘোষিত এই ২২দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এই আইন অমান্যকারীদেরকে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
এদিকে দেখা গেছে বিধিনিষেধ থাকলেও কুতুবদিয়ায় আর মাতারবাড়ীর এক শ্রেণির অসাধু জেলে এবং ব্যাবসায়ীরা আইনের তোয়াক্কা না করে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ও দেদারছে মাছ ধরে বিক্রি করে বেড়ায়।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে জেলেরা এসব করে আসছেন এবং স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় সেটা করে থাকে বলে জানা যায়। নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কে আরো সতর্ক হতে হবে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল। কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিরবতাকে ও দায়ী করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার আমিন জানান, ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মোট ২২দিন সাগরে ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ থাকবে, মূলত এটা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সচেতনতা মূলক বৈঠক সহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বন্ধের সময়ে জেলেদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে তবে সেটা মোট নিবন্ধিত জেলের ২০শতাংশ জেলে পেয়ে থাকেন৷
কুতুবদিয়ায় মোট ১০হাজার ৯শত ৫৯জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এবার আমরা চাহিদা আরো বেশী পাঠিয়েছি। এই নিষেধাজ্ঞা খুব কড়াকড়ি ভাবে পালিত হবে আগামী সাত তারিখ থেকে আমরা সাগরে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে অভিযানে নামবো।
নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে শুধু প্রশাসন নয় সাথেসাথে এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন৷ এই সময়ে কোন মাছ ধরার ট্রলার সাগরে বের হলে কিংবা কোন তথ্য প্রদান করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এইচ/কে