প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২৩ , ২:০৫:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
আজিজ উদ্দিন।।
বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচে-কানাচে জমে থাকা পানিতে এখন এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কক্সবাজার জেলায় ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ১৬৪০ (রোহিঙ্গা) জন এবং ৯২ জন স্থানীয়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬% শিশু, ২১% কিশোর, ৬১% হলো ১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী, ১১% হলো ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী, ১% হলো ৬০ উর্ধ্ব বয়সী। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সাড়ে ৭শ থেকে আটশত রোগী ভর্তি থাকে। সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের সবাইকে স্থান বা সিট দেওয়া সম্ভব হয় না, তাদেরকে বারান্দায় এবং মেঝেতে রাখা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সাধারণত জুন, জুলাই, আগস্টে ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্লক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এখনো নেই। যেসব রোগীরা ভর্তি যোগ্য রোগী তাদেরকে মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ডে অন্য রোগী দের পাশে মশারী দিয়ে আইসোলেট করে চিকিৎসা চলমান রাখা হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত সময়ের চেয়ে এই বছর আরও বাড়তে পারে। তাই এখন থেকে যথাযথ প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যাও।
এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার ৯ উপজেলার ৫ শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসায় ৫দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্যে নির্দেশনা জারি করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামনের দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী আরো বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যারা একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশেই বেশি। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট রয়েছে, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার আছে,এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।