• বিনোদন

    কলকাতা যাচ্ছে নজরুল/ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক | বিনোদন

      প্রতিনিধি ১২ অক্টোবর ২০২২ , ১১:০৩:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    দেলোয়ার হোসেন রনি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

    বিভাবন থিয়েটার একাডেমির আমন্ত্রণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ন্যাশনাল ইন্টিমেট থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল এ যোগ দিতে কলকাতা যাচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের নাটক ‘সাইক্লোসিস’ নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক।

    ১১ থেকে ১৪ অক্টোবর ২০২২ অনুষ্ঠিতব্য নাট্যোৎসবে অংশগ্রহণ করবে ভারত ও বাংলাদেশের ১৮ টি নাটক। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র নাটক ‘সাইক্লোসিস’। আত্মহত্যা প্রতিরোধে নির্মিত নাটকটি আগামী ১৪ অক্টোবর উৎসবের শেষ দিনে দমদমের থিয়েএপেক্স মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে।

    নাটকটির নাট্যকার ও নির্দেশক হীরক মুশফিক জানান, “মানুষের মধ্যে ক্রমশ আত্মহত্যা প্রবণতা বাড়ছে যা বর্তমান বিশ্বে এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সময়ের যাতাকলে আত্মকেন্দ্রিক যান্ত্রিক জীবনে এক পশলা প্রশান্তির প্রত্যাশা কখনো কখনো ক্লান্ত করে আমাদের। ক্লান্ত এ জীবনে এক কঠিন সত্যের সামনে দাঁড়িয়ে একটু পেছনে ফিরে দেখার তাগিদ রচনা করে ‘সাইক্লোসিস’ নাটকটি।

    জীবনের দোলাচলে হাবুডুবু খাওয়া মানুষের জন্য এ নাটক খুব বেশি প্রাসঙ্গিক । চূড়ান্ত মুহুর্তে জীবনকে নতুন করে সাজানোর প্রেরণা রয়েছে এখানে।”
    দর্শককে সরাসরি সম্পৃক্ত করতে অন্তরঙ্গ নাট্য আঙ্গিকে নির্মাণ করা হয়েছে নাটক।

    অভিনেতা ও দর্শকের সংযোগ তৈরির মাধ্যমে নাট্যঘটনাকে সাধারণ ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে নির্মাণ প্রক্রিয়ায়। আত্মহনন প্রতিরোধে ‘সাইক্লোসিস’ নাটকটি সামান্য হলেও ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই নাটকের কলাকুশলীবৃন্দ।

    প্রযোজনাটির সার্বিক সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন “পশ্চিমবঙ্গের বিভাবন থিয়েটার একাডেমি আয়োজিত ন্যাশনাল ইন্টিমেট থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল এ বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক- ছাত্রছাত্রীবৃন্দ অংশ নিতে যাচ্ছে, এটি খুব আনন্দের ব্যাপার।

    আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে খুবই গর্বিত। এই উৎসবের আমি সাফল্য কামনা করছি, আমি আশা করছি এই উৎসবে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে ভাতৃত্ব এটি আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা আরো বেশি বেগবান হবে। ”

    এইচ/কে

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ