ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

জলঢাকায় কোচিং মাস্টার কতৃক ছাত্রী ধর্ষণ, সাড়ে চার লক্ষ টাকায় ধামাচাপা

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৯৬৪২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হেলাল হোসেন (৩৫) নামের এক কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার টেংগনমারী আপডেট কোচিং সেন্টারে। দীর্ঘদিন ধরে ওই কোচিং সেন্টারে পড়াশুনা করে আসছে টেংগনমারী খামাতপাড়া এলাকার মুসা মিয়ার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে (ছদ্মনাম) মৌসুমী আক্তার(১৩)। হেলাল হোসেন একই উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই বসুনিয়া পাড়ার মজিবার রহমানের ছেলে।

গোপন সূত্রে জানা যায়, পড়াশুনার ফাঁকেই ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেন ছাত্রীর দিকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ৩১ শে জুলাই ধর্ষণের এই ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। দুপুরে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান তার বাবা মুসা মিয়া। মেয়েটির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক টেংগনমারী বাজারের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, উপজেলার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে ২ লক্ষ টাকা পেয়েছে ধর্ষিতার পরিবার বাকিটা মাতব্বরদের পকেটে।

মঙ্গলবার দুপুর টেংগনমারী পূর্ব খামাতপাড়ায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মেয়েটির বাবা মুসা মিয়ার সাথে ০১৭৬৭-০৯১৪৫৪ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সূত্র ধরে টেংগনমারী আপডেট কোচিং সেন্টারে গেলে এব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।

কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কথা হলে, মুঠোফোনে জলঢাকা থানার থানার ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, আপনি আমাকে ফোন দেন কেন আপনিতো ঘটনাটা জানেন কি ঘটেছিলো। আপনি এলাকায় যান, এলাকায় গিয়ে তথ্য কালেকশন করেন।

ঘটনার বিষয়টি জানতে, মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম বলেন, আমার এখানে এসেছিলো, সবকিছুতো আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়েনা। তিনি বলেন থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে তাঁরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলঢাকায় কোচিং মাস্টার কতৃক ছাত্রী ধর্ষণ, সাড়ে চার লক্ষ টাকায় ধামাচাপা

আপডেট সময় : ০১:৪০:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।

নীলফামারীর জলঢাকায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হেলাল হোসেন (৩৫) নামের এক কোচিং সেন্টারের পরিচালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উপজেলার টেংগনমারী আপডেট কোচিং সেন্টারে। দীর্ঘদিন ধরে ওই কোচিং সেন্টারে পড়াশুনা করে আসছে টেংগনমারী খামাতপাড়া এলাকার মুসা মিয়ার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে (ছদ্মনাম) মৌসুমী আক্তার(১৩)। হেলাল হোসেন একই উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই বসুনিয়া পাড়ার মজিবার রহমানের ছেলে।

গোপন সূত্রে জানা যায়, পড়াশুনার ফাঁকেই ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেন ছাত্রীর দিকে মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত ৩১ শে জুলাই ধর্ষণের এই ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। দুপুরে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান তার বাবা মুসা মিয়া। মেয়েটির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন স্থানীয় মাতব্বররা। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক টেংগনমারী বাজারের কয়েকজন ব্যক্তি জানান, উপজেলার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। এরমধ্যে ২ লক্ষ টাকা পেয়েছে ধর্ষিতার পরিবার বাকিটা মাতব্বরদের পকেটে।

মঙ্গলবার দুপুর টেংগনমারী পূর্ব খামাতপাড়ায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে মেয়েটির বাবা মুসা মিয়ার সাথে ০১৭৬৭-০৯১৪৫৪ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার সূত্র ধরে টেংগনমারী আপডেট কোচিং সেন্টারে গেলে এব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।

কোচিং সেন্টারের পরিচালক হেলাল হোসেনকে থানায় নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে কথা হলে, মুঠোফোনে জলঢাকা থানার থানার ওসি মুক্তারুল আলম বলেন, আপনি আমাকে ফোন দেন কেন আপনিতো ঘটনাটা জানেন কি ঘটেছিলো। আপনি এলাকায় যান, এলাকায় গিয়ে তথ্য কালেকশন করেন।

ঘটনার বিষয়টি জানতে, মুঠোফোনে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম বলেন, আমার এখানে এসেছিলো, সবকিছুতো আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়েনা। তিনি বলেন থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে তাঁরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিবে।