• সারাদেশ

    জেলা পরিষদ নির্বাচনে হেরে টাকা ফেরত দেওয়ার মিনতি পরাজিত প্রার্থীর | রাজনীতি

      প্রতিনিধি ২২ অক্টোবর ২০২২ , ৪:২৫:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

    খাইরুল ইসলাম:

    গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২০ লাখ টাকা খরচ করে ৯৪টি ভোট পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ময়মনসিংহের ১১নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মোছা. শিরিন সোলায়মান। তিনি নান্দাইল উপজেলার নাখিরাজ গ্রামের বাসিন্দা। ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন তিনি।

    নির্বাচনে খরচ করা ২০ লাখের মধ্যে ১১ লাখ টাকাই সুদে নেওয়া তার। এ অবস্থায় একমাত্র সম্বল আধাপাকা বসতবাড়িটি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই সাথে টাকা নেওয়া ভোটারদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরতের মিনতিও করবেন।

    বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে ফোনালাপে বলেন শিরিন সোলাইমান বলেন,“নির্বাচনে জিততে ৩ উপজেলার ২৮০ জন ভোটারকে খামের ভেতর ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৪ লাখ টাকা দিয়েছি। তাদের মধ্যে টাকা নেওয়া
    ১৯১ জনই ভোট দেননি।

    তার স্বামী একজন মেকানিক। সেই আয় থেকেই সংসার চলে। নান্দাইল উপজেলা থেকে কোনো প্রার্থী না থাকায় ১৮৫ ভোটের মধ্যে তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া ঈশ্বরগঞ্জে মোট ভোট ১৫৯ (প্রার্থী দুইজন) ও ত্রিশালে ১৭২ (প্রার্থী একজন)। এই তিনটি উপজেলা নিয়ে ৯, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড। নিজের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বলে জানায়।

    কাদের টাকা দিয়েছেন জানাতে চাইলে তিনি বলেন, চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চারজন, চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারজন ও আচারগাঁও ইউনিয়নের একজন মেম্বার ব্যতীত প্রত্যেককে তিনি খামে ভরে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ত্রিশালে ছয়জন ও ঈশ্বরগঞ্জে ৩২ জনকে পাঁচ হাজার করে টাকা দিয়েছেন। ওই সব ভোটাররা ওয়াদাও করেছিলেন তার মাইক প্রতীকে ভোট দেবেন। কিন্তু তিনি মোট ৯৪টি ভোট পেয়েছেন । এজন্য ভোটারদের স্বেচ্ছায় টাকা ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করবেন। টাকা ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকবেন বলেও জানান শিরিন সোলায়মান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ