ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

ডোমারে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল ছুটি,অভিভাবকদের ক্ষোভ | বাংলাদেশের বার্তা 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৯৬২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবিজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী প্রতিনিধি,

শিক্ষার মূলভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। যদিও শিশুরা অ আ, ১ ২, ক খ পরিবারেই শিখে, সেটার মূল ভিত্তি মজবুত করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নতুন বছরে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সময়সূচির পরিবর্তন করেছে। চালু করা হয়েছে দুই শিফট।

প্রাথমিকে শিক্ষাবর্ষে এক শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ও দুই শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে মানা হয়না সরকারি কোন নিয়ম কানুন। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও এখানে শিক্ষকরা আসতে আসতে বাজে ১০-১১টা। বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমে দু-একটি ক্লাস নেন। দুপুর দুইটা বাজতেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি যান তারা।

চার ঘণ্টায় ছয়জন শিক্ষক একটি বা দুটি বিষয়ের ক্লাস নিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। সেই সঙ্গে দিন দিন বেসরকারি বিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই।

বিদ্যালয় থেকে একটু দূরে বাজারে পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, আমাদের শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পড়ানো হয়। বাকি সময় খেলাধুলা করেই শেষ। দুপুরে আমাদের ছুটি দিয়ে বাড়ি যান শিক্ষকরা।

তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক বলেন, নতুন বই দেয়া হলেও ক্লাস নেয়ার বিষয়ে শিক্ষকদের আগ্রহ নেই। নিজেদের মনমতো বিদ্যালয়ে আসেন আবার ইচ্ছামতো চলে যান। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয়। বছরের শুরুতেই নতুন বই পেয়ে লেখাপড়ায় আগ্রহী হলেও শিক্ষকদের অবহেলায় মনোযোগ হারাচ্ছে শিশুরা।

আরেক অভিভাবক বলেন, বছরের প্রথম দিন নতুন বই দিচ্ছে সরকার, যেন শিশুদের পড়ালেখায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। অথচ শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। তারা যদি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াতো তাহলে ফলাফল আরও ভালো হতো।

সময়ের আগেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়ার কারণ জানতে চাইলে চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদা বেগম বলেন, আগামীকাল আমাদের স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে, তাই ছুটি দিয়েছি। আপনার কি সমস্যা? আপনার নিউজ করতে চাইলে করেন। অফিসকে আমি কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় সেটা আমি করব।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডোমারে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই স্কুল ছুটি,অভিভাবকদের ক্ষোভ | বাংলাদেশের বার্তা 

আপডেট সময় : ০৪:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নবিজুল ইসলাম নবীন, নীলফামারী প্রতিনিধি,

শিক্ষার মূলভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। যদিও শিশুরা অ আ, ১ ২, ক খ পরিবারেই শিখে, সেটার মূল ভিত্তি মজবুত করা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নতুন বছরে সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে সময়সূচির পরিবর্তন করেছে। চালু করা হয়েছে দুই শিফট।

প্রাথমিকে শিক্ষাবর্ষে এক শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ও দুই শিফটের কার্যক্রম সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে মানা হয়না সরকারি কোন নিয়ম কানুন। শিক্ষকরা নিজেদের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও এখানে শিক্ষকরা আসতে আসতে বাজে ১০-১১টা। বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমে দু-একটি ক্লাস নেন। দুপুর দুইটা বাজতেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি যান তারা।

চার ঘণ্টায় ছয়জন শিক্ষক একটি বা দুটি বিষয়ের ক্লাস নিয়ে বাড়ি চলে যান। এতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শিশুরা। সেই সঙ্গে দিন দিন বেসরকারি বিদ্যালয়ের দিকে ঝুঁকছে তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার (৭ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নেই।

বিদ্যালয় থেকে একটু দূরে বাজারে পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার কারণ জানতে চাইলে তারা জানায়, আমাদের শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পড়ানো হয়। বাকি সময় খেলাধুলা করেই শেষ। দুপুরে আমাদের ছুটি দিয়ে বাড়ি যান শিক্ষকরা।

তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রের অভিভাবক বলেন, নতুন বই দেয়া হলেও ক্লাস নেয়ার বিষয়ে শিক্ষকদের আগ্রহ নেই। নিজেদের মনমতো বিদ্যালয়ে আসেন আবার ইচ্ছামতো চলে যান। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয়। বছরের শুরুতেই নতুন বই পেয়ে লেখাপড়ায় আগ্রহী হলেও শিক্ষকদের অবহেলায় মনোযোগ হারাচ্ছে শিশুরা।

আরেক অভিভাবক বলেন, বছরের প্রথম দিন নতুন বই দিচ্ছে সরকার, যেন শিশুদের পড়ালেখায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। অথচ শিক্ষকরা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। তারা যদি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াতো তাহলে ফলাফল আরও ভালো হতো।

সময়ের আগেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছুটি দেয়ার কারণ জানতে চাইলে চিলাহাটি বাজার আর্দশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদা বেগম বলেন, আগামীকাল আমাদের স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে, তাই ছুটি দিয়েছি। আপনার কি সমস্যা? আপনার নিউজ করতে চাইলে করেন। অফিসকে আমি কিভাবে ম্যানেজ করতে হয় সেটা আমি করব।

প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রকিবুল হাসান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ বিষয়ে ডোমার উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমির হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি।