প্রতিনিধি ২৮ অক্টোবর ২০২২ , ৩:৫৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। জাতীয় নির্বাচন তো পরে। আগে এই সরকারকে বিদায় করতে চান বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই। জাতীয় নির্বাচন তো পরে। আগে এই সরকারকে বিদায় করতে চাই। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। পরিষ্কার কথা, এই সরকারকে চলে যেতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এসব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এদেশের মানুষ বসে থাকবে না। তারা লড়াই করবে, সংগ্রাম করবে, আন্দোলন করবে।
বিএনপি মহাসচিববলেন, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে জনগণ এই সরকারকে বিদায় করবে। তিনি তরুণ-যুবক সবাইকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে ‘গণআন্দোলনে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ‘সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সভা হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান ও সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলনের যৌথ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব নঈম জাহাঙ্গীর, কেন্দ্রীয় নেতা মুরাদ হোসেন, মোকসেদ আলী মঙ্গলীয়া, আবদুল হালিম, শরীফ হোসেন, খালেদা আখতার, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের রায়হান আল মাহমুদ, ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
সভায় সরকার দেশের অর্থনীতিকে ‘ঝাঝরা’ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে এই সরকার খুব কঠিন অবস্থায় পড়েছে। আগে বড় বড় কথা বলত- রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার আছে। তো সেই রিজার্ভ এখন গেল কোথায়? গোটা বাংলাদেশের অর্থনীতি সরকার গিলে খেয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগকে যদি সরানো না যায় তাহলে বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, যেসব পণ্য আমদানি করা হয় তার পেমেন্ট করা হয় এই রিজার্ভের তহবিল থেকে। আমরা যে ঋণ নেই সেই ঋণগুলো পরিশোধ রিজার্ভের টাকা থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বললেন, পায়রা বন্দরে খরচ হয়েছে। আমরা জানতে চাই, কীভাবে রিজার্ভ থেকে এই টাকা খরচ হলো, কারা করল? কাদেরকে দিয়ে করালেন, রিজার্ভের টাকা কীভাবে গেল?
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। রিজার্ভের টাকা সরকার চিবিয়ে খায়নি, গিলে ফেলেছে। গোটা বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে আপনারা গিলে ফেলেছেন।