ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

দেবিদ্বারের “বল্লভপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার” সুনাম ক্ষুন্ন করতে বেপরোয়া একটি কুচক্রী মহল

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৯৬৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জিএম মাকছুদুর রহমান, দেবিদ্বার উপজেলা প্রতিনিধ। 

দেবিদ্বারের “বল্লভপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কুমিল্লা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম মাদ্রাসা, কুমিল্লার খ্যাতিমান মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে এই মাদ্রাসা অন্যতম। এই মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে জৈনপুরী ওযায়ের আহম্মেদ হুজুরের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে শিক্ষার মান বজায় রেখে পার করেছে ৩ যুগেরও বেশি।

অত্র মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফুলমিয়া মাস্টারের প্রাণপন চেষ্টা, বিচক্ষনতা ও  সার্বিক সহযোগীতায় আরও সতেজ হয়ে উঠেছে শিক্ষার মান। ১২ জন বিচক্ষণ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৫০ জনেরও বেশি। অত্র মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে  বাংলাদেশ তথা বিশ্বপরিমন্ডলেও বড় বড় দপ্তরে গুরুত্বপুর্ণ পদের দায়িত্বে রয়েছেন।

তবে অত্র মাদ্রাসার খ্যাতি বাংলাদেশ তথা বিশ্বপরিমন্ডলে  দীর্ঘ ৩ যুগের বেশি  বজায় থাকলেও কালের পরিক্রমায় এসে একটি কুচক্রী মহল  মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওই এলাকার খ্যাতিমান ব্যক্তি ফুল মিয়া মাস্টার সহ মাদ্রাসার সুনাম মাটিতে মিশিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।

প্রসঙ্গত গত ৭ই অক্টোবর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে অলিউল্লাহ্ সরকার নামে এক ব্যক্তি যৌক্তিকভাবে নির্বাচিত হয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও যারা ইন্টারভিউ দিয়ে বাতিল হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিক লেনদেন হয়েছে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন, ইন্টারভিউ থেকে বাতিল হওয়া লোকগুলো কুচক্রী মহলের সাথে একত্রিত হয়ে একটি বড় ধরনের সিন্ডিকেট তৈরী করে মাদ্রাসা তথা ফুল মিয়া মাস্টারের বিরোধীতা করছেন।

ফুল মিয়া মাস্টার জানান, আমি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পর অবসরে এসে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে আছি, আমার এবং অত্র মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে লেগে আছে। আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন গুজব সৃষ্টি করেছেন, আমি এই গুজব সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

অত্র মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী অলিউল্লাহ্ সরকারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ফুল মিয়া স্যারের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত, স্যারের এবং অত্র মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে উঠেপড়ে লেগে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেবিদ্বারের “বল্লভপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার” সুনাম ক্ষুন্ন করতে বেপরোয়া একটি কুচক্রী মহল

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

জিএম মাকছুদুর রহমান, দেবিদ্বার উপজেলা প্রতিনিধ। 

দেবিদ্বারের “বল্লভপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কুমিল্লা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম মাদ্রাসা, কুমিল্লার খ্যাতিমান মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে এই মাদ্রাসা অন্যতম। এই মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে জৈনপুরী ওযায়ের আহম্মেদ হুজুরের হাতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে শিক্ষার মান বজায় রেখে পার করেছে ৩ যুগেরও বেশি।

অত্র মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফুলমিয়া মাস্টারের প্রাণপন চেষ্টা, বিচক্ষনতা ও  সার্বিক সহযোগীতায় আরও সতেজ হয়ে উঠেছে শিক্ষার মান। ১২ জন বিচক্ষণ শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত ওই মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৫০ জনেরও বেশি। অত্র মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে  বাংলাদেশ তথা বিশ্বপরিমন্ডলেও বড় বড় দপ্তরে গুরুত্বপুর্ণ পদের দায়িত্বে রয়েছেন।

তবে অত্র মাদ্রাসার খ্যাতি বাংলাদেশ তথা বিশ্বপরিমন্ডলে  দীর্ঘ ৩ যুগের বেশি  বজায় থাকলেও কালের পরিক্রমায় এসে একটি কুচক্রী মহল  মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওই এলাকার খ্যাতিমান ব্যক্তি ফুল মিয়া মাস্টার সহ মাদ্রাসার সুনাম মাটিতে মিশিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে।

প্রসঙ্গত গত ৭ই অক্টোবর ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী পদে অলিউল্লাহ্ সরকার নামে এক ব্যক্তি যৌক্তিকভাবে নির্বাচিত হয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেও যারা ইন্টারভিউ দিয়ে বাতিল হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আর্থিক লেনদেন হয়েছে এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন, ইন্টারভিউ থেকে বাতিল হওয়া লোকগুলো কুচক্রী মহলের সাথে একত্রিত হয়ে একটি বড় ধরনের সিন্ডিকেট তৈরী করে মাদ্রাসা তথা ফুল মিয়া মাস্টারের বিরোধীতা করছেন।

ফুল মিয়া মাস্টার জানান, আমি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার পর অবসরে এসে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্বে আছি, আমার এবং অত্র মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করতে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে লেগে আছে। আমার বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এমন গুজব সৃষ্টি করেছেন, আমি এই গুজব সৃষ্টিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

অত্র মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে অফিস সহকারী অলিউল্লাহ্ সরকারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে ফুল মিয়া স্যারের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনর বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত, স্যারের এবং অত্র মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে উঠেপড়ে লেগে আছে।