প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ২:৪৬:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারীতে শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং সেবা ও আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির সাথে পরিচিতির পাশাপাশি তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে দায়সারা ভাবে।
সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে দেখা যায় জেলার সকল ব্যাংকের আয়োজনে ও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উদ্দ্যেগে আয়োজিত র্যালিতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা ও কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নিলেও অধিকাংশ স্কুল প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না। তাই স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সের নামে সরকারের অর্থ লুটপাটের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানান শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অবিভাবকরা।
দেখা যায়, সোমবার অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে নীলফামারী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুুর অঞ্চলের পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের যুগ্ম পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন, সোনালী ব্যাংক লি. নীলফামারী প্রিন্সিপাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ইনচার্জ) মো. ওয়াহেদুননবী, রাকাব জোনাল অফিসের এ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহীনূর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌসী আশরাফী, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের সহকারী পরিচালক নুসরাত জাহান মিতু।
এছাড়াও কনফারেন্স শেষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হলেও তাদের হাতে নি¤œ মানের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যাংক কর্মচারী বলেন, এ অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ্য থাকলেও প্রত্যেক জনের কাছ থেকে আলাদা করে চাঁদা তোলা হয়। একটা অনুষ্ঠান করতে এতো টাকা প্রয়োজন হয়।
কনফারেন্সের বরাদ্দ্য ও কর্মচারীদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরাদ্দ্যের টাকা দিয়ে একটা অনুষ্ঠানের সম্পন্ন করা যায় না। তাই আমার সকল ব্যাংকে চাঁদা তুলেছি কিন্তু তা প্রকাশ করা যাবে না। অধিকাংশ স্কুল প্রতিষ্ঠানকে অবগত না করার বিষয়ে তিনি বলেন, সকল প্রতিষ্ঠানকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব না।