• সাহিত্য সংস্কৃতি

    বাংলাদেশের বার্তার // “সাহিত্য কন্ঠ”

      প্রতিনিধি ১০ ডিসেম্বর ২০২২ , ৩:১১:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    গোল”
    সেলিনা সাথী

    গোলে থাকে উত্তেজনা
    আনন্দে ভরপুর,,
    গোলে থাকে বিজয় উল্লাস
    উম্মাদনার সুর।
    তাইতো এত মজা গোলে
    বুঝেছ নিশ্চয়,,
    আর্জেন্টিনা গোল করে
    এনেছে আবার জয়।
    গোলের মধ্যে আনন্দ আর
    গোলেই পরাজয়,,
    গোল করলে বিশ্বকাপ ও
    নিজের হয়ে যায়।

    বিশ্বকাপ ফুটবল
    কল্পনা দাস

    বিশ্বকাপের ফুটবল খেলা
    দেখো নয়ন ভরে
    উৎসাহ আর উদ্দীপনা
    পুরো সময় ধরে।
    প্রিয় দলের পতাকাতে
    শোভা পাচ্ছে দোকান, বাড়ি
    মধ্যরাতেও দেখছে খেলা
    শিশু পুরুষ নারী।
    খেলা নিয়ে মাতামাতি
    প্রিয় দলকে ঘিরে
    দলের জয়ে খুশি যেনো
    দ্বিগুণ হয়ে ফিরে।
    অনেকজনই ঝগড়া- বিবাদ
    করছে খেলার তরে
    স্বামী – স্ত্রী যাচ্ছে না বাদ
    দ্বন্দ্ব নিজের ঘরে।
    বাক – বিতন্ডা, মারামারি
    মোটেই ভালো তো নয়
    খেলা হলো বিনোদন তাই
    এমন যেন না হয়।

    আশংকা
    সাঈদুর রহমান লিটন

    প্রকৃতি আজ থমকে গেছে
    মুখটা করেছে ভার,
    আকাশের ঐ  কালো মেঘে
    বাড়ছে বাতাসের ধার।
    ভয়ে কাঁপছে জনমানুষ
    বিদ্যুৎ কতো চমকায়,
    আকাশে আজ তর্জন গর্জন
    যেনো সে ধমকায়।
    গাছ গাছালী ভেঙেচুরে
    এই বুঝি এলো ঝড়,
    যেমন রেগে আছেন তিনি
    ভাঙ্গবে আজ বাড়ি -ঘর।
    মাঠ ফাটানো যে বাজ পড়ছে
    কোন সে দূরের গাঁয়,
    আটকে পরা মানুষ গুলো
    কেমনে বাড়ি যায়।
    আল্লাহ আল্লাহ জপছে মালা
    ঝড় যেনো না হয়,
    ঝড়ের তোড়ে মানুষ গুলো
    পাচ্ছে অনেক ভয়।

     

    স্বরবর্ণে স্মরণ
    কাঁকন কিবরিয়া

    অ,
    অমর হয়ে রয়েছো আজও
    বাঙালির অন্তরে।
    আ,
    আজও গায় সোনার বাংলা জাতি
    পথে প্রান্তরে।
    ই,
    ইতিহাস পড়লেই তখন
    মনে পড়ে যায়।
    ঈ,
    ঈদের খুশির মতোই লাগে
    খুব আনন্দ হয়।
    উ,
    উজাড় করে দিলো সবই
    দেশকে ভালোবেসে।
    ঊ,
    ঊষার আলো আসবে জেনে
    রাত্রি কালোর শেষে।
    ঋ,
    ঋতু বদলাবে সময় বদলাবে
    বদলাবে না ত্যাগের কথা।
    এ,
    এমন নিষ্ঠুরতা দেখেছে বাঙালি
    আজও হৃদয়ে গাঁথা।
    ঐ,
    ঐ যে দেখ শহীদ মিনার
    বীর শহীদদের কথা বলে।
    ও,
    ওদের হারিয়ে পেলাম বিজয়
    চোখ ভিজে যায় জলে।
    ঔ,
    ঔষধ মলম লাগালেও ভরবেনা
    সন্তান হারানোর ক্ষত।
    অং,
    অংক যেভাবেই মিলে যাকনা
    কষ্ট বিয়োগেই যত।
    অঃ,
    দুঃখ আছে সুখও আছে
    অতীত সোনায় গাঁথা,
    সাহসী বীর বাঙালি জাতি
    বাঁচবে উঁচু করে মাথা।

    স্বদেশ প্রেম
    মোহাম্মদ শফিউল্লাহ

    যাদের রক্তের বিনিময়ে,
    পেয়েছি দেশ স্বাধীন।
    থাকব আমরা চিরদিন,
    তাদের প্রতি ঋণ।

    স্বদেশ প্রেমের তরে যারা,
    দিয়ে গেছে প্রাণ।
    আমরা কভু ভুলবো না,
    তাঁদের আত্মত্যাগের দান।

    জীবন বাজি রেখে যাঁরা
    বাঁচালো জাতির প্রাণ।
    তাঁরা হলো এ জাতির,
    শ্রেষ্ঠ বীর সন্তান।

    বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যারা,
    করলো দেশ স্বাধীন।
    তাদের জন্য পেয়েছি আমরা,
    ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের এদিন।

    অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে,
    করলো দেশ স্বাধীন।
    না হলে হয়তো আমরা,
    আজও থাকতাম পরাধীন।

     

    হৃদয়ে গেঁথে রেখো
    সুদত্ত রঞ্জন বড়ুয়া

    তোমাকে দেখে সাধ মিটে না
    ফিরে দেখতে চায়,
    বেহায়া মন চাইলে কী রে
    আপন করে পায়?
    নীল আকাশে রূপালী চাঁদ
    হাসে অনেক দূরে,
    মনটা বলে দেখতে যাই
    পাখির মতো উড়ে।
    প্রিয় সজনী দিবা রজনী
    তোমার ছবি দেখে?
    ছন্দ তালে ভাসিয়ে তরী
    কবি কবিতা লেখে?
    যেথায় তুমি যেভাবে থাকো
    তোমার ভালো চায়,
    সখীর মুখে চাঁদের হাসি
    দেখতে যেন পায়?
    প্রেমিক মনে সারা জীবনে
    চির সবুজ থেকো,
    বুঝার ভুলে যাবে না চলে
    কথাটি মনে রেখো।

    শেষ মুহূর্ত
    নওরীন বিশ্বাস

    কখনো ভাবতে পারি না,
    ভাবতে হবে এভাবে।
    হৃদয় জুড়ে এসেছে,
    ভাঙা গড়া কি তবে!
    বিধাতার সৃষ্টিতে কি যে রূপ,
    ভাবতে পারি না আমি।
    তবুও ভাবতে হবে আজ
    বাস্তবতার নিরিখে সবই।
    জীবন কখন থমকে দাঁড়ায়,
    দাঁড়ায় না শুধু সময়।
    স্মৃতির পাতা মনে পড়ে,
    হৃদয় শুধু মোদের কাঁদায়।।
    তবুও স্বপ্ন দেখে ধরণীর বুকে,
    মানব হৃদয় আশা।
    গল্প, কবিতার মাঝে ফুটে উঠে,
    কত স্বপ্নের ভালোবাসা।
    কবিতার মাঝে ফুটে উঠে,
    আজ স্মৃতির পাতা।
    যেখানে লেখা আছে জীবনের,
    কত কাব্য গাঁথা।

    তোমার প্রেমে
    হালিমা খাতুন সুলতানা

    আজকে তোমার কণ্ঠ শুনলাম
    আগের মতোই ঝাঁঝালো,
    মিষ্টির হাসির নেই তো ছোঁয়া
    আমায় শুধু কাঁদালো।
    কবে আসবে সেই শুভ ক্ষণ
    ভালোবাসি জানাবো,
    আমার অস্থির অবুঝ হৃদয়
    কি দিয়ে হায় মানাবো ?
    এক হৃদয়ের ভালোবাসা
    তোমার থাকবে অজানা,
    পৃথিবীর সব ভালোবাসা
    তোমার কাছে অচেনা।
    নতুন করে তোমার প্রেমের
    বীজের বপণ হয়েছে,
    তোমার স্মৃতি আমার মনে
    বসত করতে চেয়েছে।
    কন্ঠে তোমার বিষের ছোঁয়া
    সুখের মরণ ছোঁয়াতে,
    আধো আলো আধো ছায়া
    প্রেমের কালো ধোঁয়াতে ।
    তোমার প্রেমে আমি ভাসি
    ভালোবাসার সাগরে,
    বিবেক বুদ্ধি ঘুমিয়ে তাই
    প্রাণটা তুমি জাগরে ।

    সেই তুমি
    নূরুন্নাহার বেগম

    সেই তুমি আমার তুমি – ই রয়ে গেলে
    এক সমুদ্র ভালোবাসায় আপন করে নেবার ইচ্ছায়
    যখন ডাকি তোমায়
    অপরিচিত অজানা কারো মত হয়ে যাও তখন
    সময়ের খোঁজে খোঁজে যখন ধেয়ে চলি
    তুমি তখন দু চোখে রাত্রি মেখে সটকে পড়
    আমার দু চোখে তখন শ্রাবনের ধারা
    তুমি আমায় একলা ফেলে ছেড়ে চলে গেলে
    রাতের বাকি অংশ কাটা মোরগের মত আমি
    লড়াই করেছি নিজের সাথে
    সেই তুমি আমার তুমি – ই রয়ে গেলে
    আপন হতে পারলে না- তো!!

     

    (বিঃদ্রঃ বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ই ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে একটি বিশেষ সংখ্যা। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৬ লাইনের ছড়া/ কবিতা পাঠিয়ে দিন ইমেইলে)

    মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম
    সাহিত্য সম্পাদক
    বাংলাদেশের বার্তা
    sampadok.afjal@gmail.com

     

    http://এইচ/কে

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ