বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানে জনবসতিতে বোমা সদৃশ্য বস্তু আছড়ে পড়েছে

- আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ৯৬৩০ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন,জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজার॥
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্য রেখা সংলগ্ন বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকার জনবসতিতে বোমা সদৃশ্য বস্তু আছড়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বোমা সদৃশ্য বস্তু দুটি মর্টার শেল।
গতকাল রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া দুটি মর্টার শেল নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে এসে পড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মাঝে।
মোহাম্মদ আনিস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ” বিকেলে বিকট শব্দে গোলাটি উত্তর পাড়ার আয়াজের বাড়ির কাছে এসে পড়ে। পরে আরও একটি গোলা কাছাকাছি রাস্তায় নিক্ষেপ করা হয়। এতে আমরা আতঙ্ক আছি, জানিনা কখন কি হয়।”
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ” গত দুই সপ্তাহ ধরে ওপারে গোলাগুলি হচ্ছে। বিভিন্ন সুত্রে জেনেছি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এতদিন পাহাড়ে গোলা ছুড়লেও আজকে উত্তর পাড়ায় মর্টার সেল গুলো এসে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার দুপুরে বাজার সদাইয়ের জন্য নিকটবর্তী উখিয়ার কুতুপালং বাজারে আসেন ঘুমধুম উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম (৩৫)। তিনি বলেন, নিজের এলাকায় মর্টার শেল পড়ার খবর পেয়ে পরিবারের জন্য দুশ্চিন্তায় ভুগছি। তাদের বলেছি পরিবার নিয়ে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে চলে আসতে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মর্টার শেল দুটি বিস্ফোরিত হয়নি। সেখানকার আশপাশের লোকজনকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এদিকে, রাখাইনে উত্তেজনার কারণে ঘুমধুমের দক্ষিণ কোনাপাড়া সীমান্তের শূন্যরেখায় বাস করা ৬২১ টি পরিবারের ৪ হাজার ২০০ রোহিঙ্গারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
শূন্য রেখার আশ্রয় শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গা আবুল হাকিম (৫৩) বলেন, ” হঠাৎ করেই রাখাইনে তুমুল সংঘর্ষ হচ্ছে, আমরা আতংকে আছি কখন জানি আমাদের হতাহত হতে হয়। মায়ানমারের বিজিপি চৌকি বসিয়ে আমাদের নজরদারি করছে, নিজ দেশে আদৌ ফেরত যাবো কিনা জানি না।”