প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:০৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রহমান সাঈফ, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি,
কুমিল্লার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘তিননদী পরিষদ’। মেঘনা, গোমতী ও তিতাস এই নদী তিনটির কথা মনে রেখেই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা নগর উদ্যানের জামতলায় ৩৭ বছর ধরে তারা নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জল ইতিহাস শুনিয়ে আসছে।
একুশের চেতনাকে লালন করে তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে ২১ দিনব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাচ, গান, নাট্য, আবৃত্তি ও আলোচনায় একুশের চেতনা তুলে ধরে। উদ্যোগটির মূল কাণ্ডারি আবুল হাসানাত।
মূলত তার উদ্যোগেই ৩৭ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে এ অনুষ্ঠান। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই চলছে উদযাপন।
একুশ নিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য ১৯৮৪ সালে নগর পার্কের জাম গাছের নিচে একটি পাকা মঞ্চ করে দেন তৎকালীন ডিসি সৈয়দ আমিনুর রহমান। সেই থেকে প্রতিবছর পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শহরের পৌর উদ্যানের শতবর্ষী জামতলায় শুরু হয় এ আয়োজন।
তিন নদী পরিষদের পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বলেন, মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই ১৯৮৪ সালে তিননদী পরিষদ গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে ২১ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে মা, মাটি, দেশ, বাংলা ভাষা এবং একুশের আবেদনকে পৌঁছে দেওয়া।