ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৬৬৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হযরত মাওলানা মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল।

আলহামদুলিল্লাহ,মহান আল্লাহ কাছে লাখো কটি শুকরিয়া আদায় করি, একটি বছর পরে আবার ফিরে আসলো মাহে রমজান। দিনের বেলা রোযা রাখাকে ফরজ করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ
হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তিদের উপর । যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।
(সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৩)

সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা:) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পরকালীন প্রতিদান কামনায় রমযানের রোযা রাখবে তার অতীত জীবনের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড, ২৫৫পৃঃ মুসলিম শরীফ)

মহানবী (সা.) আরও বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, রোযা আমার জন্য, আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব।(হাদীসে কুদসী , বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড, ২৫৪ পৃঃ)

যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের নিয়তে রমযানের রাতগুলোতে কিয়াম করবে (অর্থাৎ তারাবী পড়বে) তার অতীত গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে।৷        (মিশকাত শরীফ: ১ম খন্ড, ১৭৩ পৃঃ)

রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, এই মাসে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে ইহা তার গোনাহ মাফ হওয়ার ও জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি লাভের উপায় হবে। আর ঐ রোযাদারের সাওয়াব মোটেও কম হবে না। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের প্রত্যেকে তো এই সামর্থ রাখে না, যা দ্বারা সে রোযাদারকে ইফতার করাবে? তখন রাসূল (সা.) বললেন, (এই সওয়াব পেট ভরে খাওয়ানের উপর নির্ভর করে না বরং) এই সাওয়াব আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকেও দান করবেন যে (নিজের সাধ্যানুসারে) রোযাদারকে এক চুমুক দুধ দিয়ে কিংবা একটি মাত্র খেজুর দিয়ে কিংবা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে। যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে তৃপ্ত করাবে আল্লাহ তা’আলা তাকে আমার হাউজে কাওসার থেকে এভাবে পান করাবেন যে জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে আর পিপাসা লাগবে না।
(মিশকাত শরীফ: ১৭৪পৃঃ)

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এই মাসে যে ব্যক্তি নফল নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হবে যে রমযান ছাড়া অন্য সময় একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করবে সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ আদায় করল।
(মিশকাত শরীফ: ১৭৩পৃঃ)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তার সঙ্গী-সাথীদের এ মর্মে সুসংবাদ শোনাতেন- ‘তোমাদের সমীপে রমযান মাস এসেছে। এটি এক মোবারক মাস। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোযা ফরজ করেছেন। এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয় এবং বন্ধ রাখা হয় জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বাঁধা হয় শিকলে। এ মাসে একটি রজনী রয়েছে যা সহস্র মাস হতে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল সে যেন যাবতীয় কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল।
(আহমদ:২/২৩০পৃঃ)

সুতরাং, প্রত্যেক মু’মিন মুসলমানদের উচিত এই মাসে দান-সদকা, কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাযসহ বেশি বেশি ইবাদত করা।বিশেষত এই চারটি কাজ বেশি করাঃ
* বেশি বেশি কালিমা পড়া।*এস্তেগফার বেশি বেশি করে পাঠ করা।
*জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দুআ করা।
*জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি বেশি দুআ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব 

আপডেট সময় : ০৬:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

হযরত মাওলানা মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল।

আলহামদুলিল্লাহ,মহান আল্লাহ কাছে লাখো কটি শুকরিয়া আদায় করি, একটি বছর পরে আবার ফিরে আসলো মাহে রমজান। দিনের বেলা রোযা রাখাকে ফরজ করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছেঃ
হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তিদের উপর । যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার।
(সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৩)

সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা (রা:) রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি ঈমানী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে পরকালীন প্রতিদান কামনায় রমযানের রোযা রাখবে তার অতীত জীবনের সকল পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড, ২৫৫পৃঃ মুসলিম শরীফ)

মহানবী (সা.) আরও বলেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, রোযা আমার জন্য, আমি নিজেই তার প্রতিদান দেব।(হাদীসে কুদসী , বুখারী শরীফ: ১ম খন্ড, ২৫৪ পৃঃ)

যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের নিয়তে রমযানের রাতগুলোতে কিয়াম করবে (অর্থাৎ তারাবী পড়বে) তার অতীত গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হবে।৷        (মিশকাত শরীফ: ১ম খন্ড, ১৭৩ পৃঃ)

রাসূলে কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, এই মাসে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে ইহা তার গোনাহ মাফ হওয়ার ও জাহান্নামের আগুন হতে মুক্তি লাভের উপায় হবে। আর ঐ রোযাদারের সাওয়াব মোটেও কম হবে না। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের প্রত্যেকে তো এই সামর্থ রাখে না, যা দ্বারা সে রোযাদারকে ইফতার করাবে? তখন রাসূল (সা.) বললেন, (এই সওয়াব পেট ভরে খাওয়ানের উপর নির্ভর করে না বরং) এই সাওয়াব আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকেও দান করবেন যে (নিজের সাধ্যানুসারে) রোযাদারকে এক চুমুক দুধ দিয়ে কিংবা একটি মাত্র খেজুর দিয়ে কিংবা এক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করাবে। যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে তৃপ্ত করাবে আল্লাহ তা’আলা তাকে আমার হাউজে কাওসার থেকে এভাবে পান করাবেন যে জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে আর পিপাসা লাগবে না।
(মিশকাত শরীফ: ১৭৪পৃঃ)

রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, এই মাসে যে ব্যক্তি নফল নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করবে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় হবে যে রমযান ছাড়া অন্য সময় একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করবে সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরজ আদায় করল।
(মিশকাত শরীফ: ১৭৩পৃঃ)

হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তার সঙ্গী-সাথীদের এ মর্মে সুসংবাদ শোনাতেন- ‘তোমাদের সমীপে রমযান মাস এসেছে। এটি এক মোবারক মাস। আল্লাহ তা’আলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোযা ফরজ করেছেন। এতে জান্নাতের দ্বার খোলা হয় এবং বন্ধ রাখা হয় জাহান্নামের দরজা ও শয়তানকে বাঁধা হয় শিকলে। এ মাসে একটি রজনী রয়েছে যা সহস্র মাস হতে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল সে যেন যাবতীয় কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হল।
(আহমদ:২/২৩০পৃঃ)

সুতরাং, প্রত্যেক মু’মিন মুসলমানদের উচিত এই মাসে দান-সদকা, কুরআন তিলাওয়াত, নফল নামাযসহ বেশি বেশি ইবাদত করা।বিশেষত এই চারটি কাজ বেশি করাঃ
* বেশি বেশি কালিমা পড়া।*এস্তেগফার বেশি বেশি করে পাঠ করা।
*জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দুআ করা।
*জান্নাতে প্রবেশের জন্য বেশি বেশি দুআ করা।