প্রতিনিধি ১১ অক্টোবর ২০২২ , ৩:০০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
মনির হোসেন মাহিন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে কলা চাষ সম্প্রসারণের জন্য আমন্ত্রিত চাষিদের মধ্যে উন্নত জাতের কলার টিস্যু চারা বিতরণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার চাষিদের মধ্যে এর চারা বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা প্রফেসর মো. শাহেদ জামান।
আগামী দিনে এই কলা এতদঞ্চলের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করে উপাচার্য বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার সংস্থানের জন্য নতুন নতুন জাতের শস্য ও ফলমুল উদ্ভাবন একান্ত প্রয়োজন। সেই লক্ষে দেশের অন্যতম শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একদল উদ্ভাবনী গবেষক ও প্রয়োজনীয় গবেষণাগার। কৃতি গবেষকদের সাফল্যের স্বাক্ষর উন্নত জাতের এই কলা উদ্ভাবন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যে উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন করেছে তা অন্যদেরও উদ্ভাবনী গবেষণায় অনুপ্রাণিত করবে। আগামীতেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক তানজিমা ইয়াসমিন বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা গবেষণায় নিরন্তর রত রয়েছেন। তাঁদের গবেষণায় সাফল্যের সর্বশেষ স্বাক্ষর এই উন্নত জাতের কলা উদ্ভাবন। এই কলা উচ্চফলনশীল হওয়ায় তা মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি জানান, বিভাগের গবেষণাগারগুলিতে চলমান গবেষণা থেকে অচিরেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কলার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ‘হার্ডেনিং’ পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যা নিরসন করে উন্নত মানের টিস্যু কালচার কলার চারা উদ্ভাবনে অভাবনীয় সফলতা দেখান বিশিষ্ট গবেষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসেন।
এ গবেষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লান্ট মলিকুলার বায়োটেকনোলজি ল্যাবে এ উন্নত মানের টিস্যু কালচার কলার চারা উদ্ভাবন করেন। বর্তমানে এ পদ্ধতিতে নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে ওই চারা উৎপাদন করা হচ্ছে, যার ফলে এটি রোগমুক্ত এবং চাষে ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার ও বিষ প্রয়োগের মাত্রাও কমে যায়।
এইচ/কে