প্রতিনিধি ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ৬:১২:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
আজিজ উদ্দিন।।
বাচাঁনো গেলোনা রূপাকে। পেকুয়া সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশু রূপা চট্রগ্রাম নেওয়ার পথে মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শিশু কন্যা রূপার মৃত্যুর খবর শুনে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান কান্নায় ভেঙে পড়েন ও তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেধনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, নিহত রূপা সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে, সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকা এক শিশু কন্যাকে নিজের কোলে তুলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
আজ (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় চকরিয়া-পেকুয়া সড়কের বরইতলী এলাকায় সিএনজি গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হয় জান্নাতুল তানজিদ নিশকাত রূপা নামে শিশুটি।
গাড়ির ধাক্কায় ছোট্ট মেয়েটি যখন মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল তখন পথিমধ্যে পেকুয়া থেকে কক্সবাজার জেলা পরিষদের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় মেয়েটিকে দেখতে পান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান। মুহুর্তের মধ্যে গাড়ি থেকে নেমে নিজের কোলে ধরে সিএনজিতে উঠিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান মেয়র।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আঘাত গুরুতর হওয়ায় ছোট্ট রিপাকে নিজের টাকায় ভাড়া করা এম্বুলেন্সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন ডাক্তাররা। কিন্তু সেখানেও বিধি বাম, অসহায় গরীব বাবার মেয়েটির অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু টাকা নেই বলে মেয়েকে চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে পারছেননা তার বাবা আবুল কালাম।
মেয়র জানান, রিপার ফলোআপ খবর নিতে গিয়ে জানতে পারি তার বাবার চিকিৎসা করানোর মত টাকা নেই। তাই আমি আমার ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৫৫ হাজার টাকা দিয়ে দ্রুত এম্বুলেন্সে তুলে দেয়। সেই সাথে মেয়েটির যাবতীয় চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার আমি গ্রহণ করবো বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাস শিশু কন্যা রূপাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।