প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২২ , ২:৩৪:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ
সোবাহান সৈকত, সদরপুর;
ফরিদপুরের সদরপুরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ও ভারী বর্ষণ ও ঝড়োহাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ভারী বর্ষন ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি পাকা ধানের মাঠ তলিয়ে গেছে।
ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় উপজেলা সদরের সাথে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে পদ্মা আড়িয়ার খাঁর চরাঞ্চলের শত শত ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে।
নদী ভাঙ্গন এলাকার লোকজন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। হতদরিদ্র ও দিনমজুর শ্রেণির লোকজন কর্মহীন হয়ে অর্থ সংকটে ভুগছে। সোমবার ভোর থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
রাস্তার বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। সরেজমিন দেখা যায় সদরপুর সদর থেকে পিয়াজখালী, কৃষ্ণপুর, আটরশি, চরভদ্রাসন, চন্দ্রপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙ্গে পড়েছে। প্রায় ৮ঘন্টা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়।
সদরপুর থেকে পিয়াজখালী সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে যাত্রীদের যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকা ডুবে নিচু এলাকার উঠতি ধান ও মাস কলাই সহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত সদরপুর সহ বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় ব্যাংক, অফিস, সরকারি বেসরকারি কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে পড়েছে।
চর এলাকার দিয়ারা নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন সরদার ও চরনাছিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রোকনউদ্দিন মোল্লা জানান, তাদের এলাকার উঠতি আমন ও পাকা ধান পানির নিচের তলিয়ে গেছে।
অধিকাংশ ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক সদরপুর বাজার কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কবির হোসাইন জানান, গত সোমবার থেকে এ রিপোর্ট করা পর্যন্ত তার ব্যাংকে স্বাভাবিক লেনদেন করা সম্ভব হয় নাই। গতকাল জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে সদরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়।