• অন্যান্য

    সূর্যমুখী ফুল চাষে সম্ভাবনার হাতছানি

      প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২৩ , ৫:৫৪:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    সাব্বির মির্জা, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।

    রাস্তার ধারে কিংবা ফসলের মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। অনেকে দেখে মুগ্ধ হয়ে নিচ্ছেন সেলফি। আর সূর্য যেদিকে থাকছে তাল মিলিয়ে সূর্যমুখী ফুলও সেদিকে ঘুরছে। সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ও ছবি তুলতে দর্শনার্থীদের কাছে টানছে।

    অন্যদিকে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম লাভ বেশি। এ কারণে ঝুঁকছে কৃষক। তাই এবারও রবিশষ্যের চাষাবাদে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নতুনমাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এ অঞ্চলের মাটির গুণাগুণ, আবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষাবাদের উপযোগী হওয়ায় কৃষকের কাছে জনপ্রিয় ও আগ্রহী করে তুলেছে।

    তাড়াশ উপজেলায় ধান, ভুট্টা, গমের আবাদের সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে এই সূর্যমুখী চাষ। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় ৩০ জন কৃষক ৩০ বিঘা জমিতে এই ফুলের চাষ করছে।

    উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ ৮ ইউনিয়নের ৩০ বিঘা জমিতে ৩০ জন কৃষককে বীজ ও প্রযুক্তিসহ কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছেন।

    খুঁটিগাছা গ্রামের কৃষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, কৃষি অফিসের সহায়তায় বীজ পেয়ে ১ বিঘা জমিতে চাষ করছি। সার, সেচ ও কীটনাশক মিলিয়ে বিঘাপ্রতি জমিতে সূর্যমুখী চাষে খরচ হবে প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা। যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে খরচ বাদে বিঘা প্রতি আয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই এর ফলন পাওয়া যাবে।

    তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সূর্যমুখী একটি তেল ফসল। এটি স্থানীয়ভাবে উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবেও পরিচিত। ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখী শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। এটি শরীরের কোলেস্টরেল ঠিক রাখে।

    কৃষকদের কাছ থেকে কোম্পানি সরাসরি এর বীজ কিনে নেবেন। কৃষকদের সঙ্গে কোম্পানির প্রতিনিধিদের আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে কৃষকরা এটি কোথায় বিক্রি করবে সেটি নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ থাকবে না। আগামীতে এর চাষ আরও বাড়বে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ