ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং ৪৪ তম

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬২০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মনির হোসেন মাহিন:

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবস্থান ৪৪তম।

ইউজিসির সচিবালয় এবং প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯.৯০ স্কোর নিয়ে রাবির অবস্থান ৪৪ তম। যেখানে এর আগে রাবির অবস্থান ছিল ৩৩তম।

ইউজিসি নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের আওতায় সর্বমোট ১০০-এর মধ্যে ৯৯. ৪৭ স্কোর পেয়ে এবারও র‍্যাংকিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ৯৪.৪৮ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯৩.৭৫ স্কোর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

রাবির এমন অবস্থা নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই রাবির অবস্থান দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইউজিসি যেসব তথ্য চেয়েছিলেন সেগুলো ঠিকমতো সরবরাহ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর দায় রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষের ওপর বর্তায় বলে দাবি করছেন তারা।

ইউজিসির কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সর্বনিম্ন থাকার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার দেখে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে কাঠামোতে রিপোর্টগুলো চেয়েছিল সেভাবে সেগুলো সংযোজন করা হয়নি।

যার ফলে কর্মসম্পাদনে এসব রিপোর্ট না থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সেভাবে মূল্যায়ন হয়নি। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অনেক কাজ করেছি, কাহের সঠিক মূল্যায়ন না পেলে কষ্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। ইতোমধ্যে আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখব। কাজের স্বীকৃতি আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ প্রবর্তন যাত্রা শুরু করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং ৪৪ তম

আপডেট সময় : ০৯:২৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

মনির হোসেন মাহিন:

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০২১-২২ অর্থ বছরের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেখানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অবস্থান ৪৪তম।

ইউজিসির সচিবালয় এবং প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৯.৯০ স্কোর নিয়ে রাবির অবস্থান ৪৪ তম। যেখানে এর আগে রাবির অবস্থান ছিল ৩৩তম।

ইউজিসি নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের আওতায় সর্বমোট ১০০-এর মধ্যে ৯৯. ৪৭ স্কোর পেয়ে এবারও র‍্যাংকিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে ৯৪.৪৮ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯৩.৭৫ স্কোর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

রাবির এমন অবস্থা নিয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই রাবির অবস্থান দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ইউজিসি যেসব তথ্য চেয়েছিলেন সেগুলো ঠিকমতো সরবরাহ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর দায় রেজিস্ট্রার ও কোষাধ্যক্ষের ওপর বর্তায় বলে দাবি করছেন তারা।

ইউজিসির কর্মসম্পাদন চুক্তি মূল্যায়নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সর্বনিম্ন থাকার কারণ জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এ বিষয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রার দেখে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যে কাঠামোতে রিপোর্টগুলো চেয়েছিল সেভাবে সেগুলো সংযোজন করা হয়নি।

যার ফলে কর্মসম্পাদনে এসব রিপোর্ট না থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সেভাবে মূল্যায়ন হয়নি। যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা অনেক কাজ করেছি, কাহের সঠিক মূল্যায়ন না পেলে কষ্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। ইতোমধ্যে আমি উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পরবর্তীতে আমরা এ বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখব। কাজের স্বীকৃতি আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ প্রবর্তন যাত্রা শুরু করে।