ঢাকা ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষকদের অবস্থান, নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরছে জবি

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৬৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জবি সংবাদদাতা।

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফেরা, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের রেজুলেশন জালিয়াতির প্রতিবাদ, কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন ও দ্রুত সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।

সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষকরা। এতে চার শতাধিক শিক্ষক অংশ নেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো গবেষণা ছাড়াই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫ মার্চ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয় সে সিদ্ধান্তগুলো কার্য বিবরণে বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গুচ্ছে অংশগ্রহণের ফলে আমাদের সেশনজট তৈরি হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক।

অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের এত অনীহা কেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্যের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেখানেই যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।

মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য আমাদের আজকের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আবারও ৫/৬ তারিখে বিশেষ অ্যাকাডেমিক সভার আহ্বান করেছেন। ওই অ্যাকাডেমিক সভায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইউনিট ভিত্তিক কমিটি গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। আর গত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, সেটাও আমাদের উপস্থিতিতেই সংশোধন করে দেন উপাচার্য।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট সভায় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষকদের অবস্থান, নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়ায় ফিরছে জবি

আপডেট সময় : ১১:৩১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

জবি সংবাদদাতা।

গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতিতে ফেরা, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের রেজুলেশন জালিয়াতির প্রতিবাদ, কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন ও দ্রুত সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে অবস্থান নেন শিক্ষকরা।

সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে শিক্ষকরা। এতে চার শতাধিক শিক্ষক অংশ নেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গুচ্ছ এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোনো গবেষণা ছাড়াই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ চাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। আর সবচেয়ে লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫ মার্চ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয় সে সিদ্ধান্তগুলো কার্য বিবরণে বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে গুচ্ছে অংশগ্রহণের ফলে আমাদের সেশনজট তৈরি হয়েছে তা আসলেই দুঃখজনক।

অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নিতে চাই। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের এত অনীহা কেন। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবারও গুচ্ছে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্যের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হলে সেখানেই যাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ।

মানববন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, উপাচার্য আমাদের আজকের দাবিগুলো মেনে নিয়ে আবারও ৫/৬ তারিখে বিশেষ অ্যাকাডেমিক সভার আহ্বান করেছেন। ওই অ্যাকাডেমিক সভায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কমিটি ও ইউনিট ভিত্তিক কমিটি গঠন করে আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় সেগুলো উপস্থাপন করা হবে। আর গত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তগুলো বিকৃতভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়, সেটাও আমাদের উপস্থিতিতেই সংশোধন করে দেন উপাচার্য।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট আহ্বান করা হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট সভায় সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।