কক্সবাজারে জিও ব্যাগে/ রক্ষা করছে সমুদ্র সৈকত।
- আপডেট সময় : ০২:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন।।
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। একটু বিনোদন ও প্রশান্তির খোঁজে সারাদেশের মানুষ ছুটে আসে কক্সবাজারে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকেতের স্বাস্থ্যকর ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখে পর্যটকরা বার বার এখানে বেড়াতে আসেন।
জোয়ারের উত্তাল ঢেউ সমুদ্রের পাড় ভেঙে দিয়েছে। গত মাসে সমুদ্র সৈকতের অন্তত ৬টি পয়েন্ট ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলি পয়েন্ট, শৈবাল পয়েন্ট, কবিতা চত্ত্বর পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্টসহ সব পয়েন্টে ভাঙনের সৃষ্টি শুরু হয়।
সমুদ্রের পানির কিনারায় বালিয়াড়িতে পর্যটকদের জন্যে রাখা কিটকাট জায়গা ডুবিয়ে বিভিন্ন মার্কেটে ও ঝাউবাগানের কাছাকাছি চলে এসেছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সৈকতের ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগের বাঁধ দিয়ে রেখেছেন লাবণী পয়েন্টেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে।
লক্ষীপুর থেকে আসা ফয়সাল আহমদ বলেন, লাবণী পয়েন্টে বালির বাঁধ দেয়া হলেও আমরা তার নিচ দিয়ে সমুদ্রে নামি। সমুদ্রের পানি আমাদের অতি যত্নে পা ভিজিয়ে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে সাগরের পানি অতিথিদের যেন আদর করে পা ধুয়ে মুছে দিচ্ছে।
এখানে আসলে সাগরের বিশালতা ও আতিথিয়তা দেখতে পাওয়া যায়। সমুদ্রের এমন আদর মাখা পেতে বছরে একবার করে কক্সবাজারে বেড়াতে আসি।
কক্সবাজারের স্থানীয় প্রকোশলী আবদুল মান্নান বলেন, ভোর বেলা ও বিকেল বেলায় স্থানীয়দের পাশাপাশি অনেক পর্যটক শরীর চর্চা করতে কক্সবাজার সমুদ্র বেলাভূমিতে নামে। বেশির ভাগ সময় ভোর থেকে সকাল ৮টা অবদি অনেক মানুষ বিভিন্ন পয়েন্টে শরীর চর্চা করে থাকেন।
কিছুদিন আগে থেকে লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এসে ভেঙে যাওয়ায় এদিকে পর্যটকের সংখ্যা একটু কমতে থাকে। কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি। চট্টগ্রাম থেকে আসা জাফর আলম বলেন, সমুদ্রে স্নান করতে খুব ভালো লাগে।
বন্ধুদের নিয়ে এখানে বেড়াতে আসি। এখানকার পরিবেশ ও সমুদ্রের মিতালি এক অপূর্ব অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাই প্রতিনিয়ত সময় পেলে কক্সবাজারে ছুটে আসি। ঢাকা মিরপুর থেকে আসা সোহেল রানা বলেন, এক সপ্তাহের ছুটি নিয়ে পরিবারসহ কক্সবাজারে এসেছি আজ তিন দিন।
আগামীকাল কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে সমুদ্র দেখতে দেখতে যাব টেকনাফে। ওখান থেকে আসার পথে উখিয়ার পাথুরে গাথা ইনানী সমুদ্র সৈকতে নামবো।
একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র মাঝ পথে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক পর্যটকদের আকর্ষণের যেন শেষ নেই। বৃহস্পতিবার আসলেই উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও কর্মীরা ছুটে যান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে।
শুক্র-শনি দুই দিন বন্ধ থাকায় তারা রাত্রি যাপন করারও সুযোগ পান। সমুদ্র সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিন পর্যটকদের খুব ভিড় থাকে। এতে ব্যবসাও ভাল হয়।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রেজাউলল করিম বলেন, সাগর যখন উত্তাল থাকে তখন পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সচেতনতা অবলম্বনের জন্য মাইকিং করা হয়। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষনিক সজাগ রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ, বীচ কর্মী ও লাইফ গার্ড।
















