ঢাকা ০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট

মুজাহিদুল ইসলাম,জবি প্রতিনিধি ।
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৯৮৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দোতলা প্রশাসনিক ভবনে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা ব্যয়ে লিফট নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে লিফট নির্মাণের জন্য ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৫ সালের শুরুতে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র নিয়ে  আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে (এলিভেটর) কোম্পানি ৫০ লাখ ৫২ হাজার টাকা, (স্বপ্ন) কোম্পানি ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং (ওয়াল্টন) কোম্পানি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়। আলোচনার পর গত ১৮ই মার্চ ওয়াল্টন কোম্পানির সঙ্গে  বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ চুক্তিতে লিফট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে জবির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “লিফট নির্মাণে যে বাজেট ছিল, তার পুরো টাকাই নির্মাণ কাজে
ব্যয় করা হয়েছে। কোনো অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) ফেরত যাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।”

অন্যদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা জানান, “লিফট নির্মাণে বাজেট ছিল ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা। এর মধ্যে আমরা ওয়াল্টন কোম্পানিকে ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকার বিনিময়ে কাজ  প্রদান করেছি। বাকি প্রায় ৬ লাখ টাকা ইউজিসিতে ফেরত যাবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংস্কার খাতে ব্যয় করা হবে। আমরা  নিয়মিত  কাজের তদারকি করেছি এবং কোন ধরনের অনিয়ম পায়নি। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই লিফট চালু হবে।”

ওয়াল্টন কোম্পানির সিইউও বলেন,
“আমাদের সঙ্গে জবির লিফট নির্মাণে চুক্তি হয়েছে ৪৩ লাখ টাকার। এখানে জার্মান সিরিজ ব্যবহার করা হয়েছে, যা উন্নত ও ব্যয়বহুল। আমরা PWA রেট শিডিউল অনুযায়ী কাজ নিয়েছি।  একই ধরনের লিফট অন্য কোনো  কোম্পানি বসালে প্রায় ৭০ লাখ টাকা লাগতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ের স্বার্থে আমরা কম দামে কাজ করেছি।”

উল্লেখ্য অনুমদিত বাজেটের ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা ব্যয়ে নির্মিত লিফটের কাজ ওয়াল্টন কোম্পানি ৪৩ লক্ষ টাকায় করলে বাকি ১০ লক্ষ টাকার গড়মিলের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি প্রধান প্রকৌশলী বরং পুরো টাকাই নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট

আপডেট সময় : ০৫:৪৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দোতলা প্রশাসনিক ভবনে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা ব্যয়ে লিফট নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে লিফট নির্মাণের জন্য ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ তিন বছর পর ২০২৫ সালের শুরুতে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে দরপত্র নিয়ে  আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে (এলিভেটর) কোম্পানি ৫০ লাখ ৫২ হাজার টাকা, (স্বপ্ন) কোম্পানি ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং (ওয়াল্টন) কোম্পানি ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়। আলোচনার পর গত ১৮ই মার্চ ওয়াল্টন কোম্পানির সঙ্গে  বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ চুক্তিতে লিফট নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে জবির প্রধান প্রকৌশলী বলেন, “লিফট নির্মাণে যে বাজেট ছিল, তার পুরো টাকাই নির্মাণ কাজে
ব্যয় করা হয়েছে। কোনো অর্থ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) ফেরত যাচ্ছে না। প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি।”

অন্যদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহা জানান, “লিফট নির্মাণে বাজেট ছিল ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা। এর মধ্যে আমরা ওয়াল্টন কোম্পানিকে ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ টাকার বিনিময়ে কাজ  প্রদান করেছি। বাকি প্রায় ৬ লাখ টাকা ইউজিসিতে ফেরত যাবে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সংস্কার খাতে ব্যয় করা হবে। আমরা  নিয়মিত  কাজের তদারকি করেছি এবং কোন ধরনের অনিয়ম পায়নি। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই লিফট চালু হবে।”

ওয়াল্টন কোম্পানির সিইউও বলেন,
“আমাদের সঙ্গে জবির লিফট নির্মাণে চুক্তি হয়েছে ৪৩ লাখ টাকার। এখানে জার্মান সিরিজ ব্যবহার করা হয়েছে, যা উন্নত ও ব্যয়বহুল। আমরা PWA রেট শিডিউল অনুযায়ী কাজ নিয়েছি।  একই ধরনের লিফট অন্য কোনো  কোম্পানি বসালে প্রায় ৭০ লাখ টাকা লাগতো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করে নিজেদের ব্র্যান্ডিংয়ের স্বার্থে আমরা কম দামে কাজ করেছি।”

উল্লেখ্য অনুমদিত বাজেটের ৫৩ লাখ ১৮ হাজার ৩২১ টাকা ব্যয়ে নির্মিত লিফটের কাজ ওয়াল্টন কোম্পানি ৪৩ লক্ষ টাকায় করলে বাকি ১০ লক্ষ টাকার গড়মিলের বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি প্রধান প্রকৌশলী বরং পুরো টাকাই নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।