জলঢাকায় গোপনে নিয়োগ বানিজ্য অপচেষ্টা করার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ০১:২৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
- / ৯৬১৯ বার পড়া হয়েছে
নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।
নীলফামারীর জলঢাকায় রাজারহাট কাবাদিয়া রহমানিয়া আলিম মাদ্রাসার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে স্থানীয়দের আবেদনের সুযোগ না দিয়ে ঘুষ,দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ বানিজ্য কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নিয়োগ প্রত্যাশীসহ এলাকাবাসী। ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে রাজারহাট কাবাদীয়া আলিম মাদ্রাসার গেটের সামনের রাস্তায় দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে অত্র এলাকার শতাধিক সাধারণ সচেতন মানুষ।
নিয়োগ প্রত্যাশীসহ এলাকাবাসীর সার্বিক আয়েজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জলঢাকা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আতিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল মালেক,ইউপি সদস্য রশিদুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান দুদুল, আব্দুল খালেক, আলম মিয়া, এরশাদুল ইসলাম, নিয়োগ প্রত্যাশী মেজিকা আক্তার, অফিস সহকারীনপদে চাকুরী প্রত্যাশী সবুজ ইসলাম, মোশফেকুর রহমান, আরফিনা আক্তরসহ অনেকে।
এ সময় চাকুরী প্রত্যাশীরা বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, পরিপত্রনুযায়ী সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ( জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস ব্যতিরেখে ) সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পুন্ন করার বিধান থাকলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অত্যান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে স্থানীয় ব্যক্তিদের প্রাধান্য না দিয়ে আর্থিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্ন্ন করার অচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক আব্দুল মালেক বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে ইতিপূর্বেও স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা ঘটেছিল। এবার ৫টি পদে গোপনীয়তা রক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর আর্থিক সুবিধা নিয়ে ধায়দা লুটছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য এলাকার সাধারণ মানুষ আজ এই অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ মানববন্ধনের মাধ্যমে সোচ্চার হয়েছেন। এ বিষয়ে রাজারহাট কাবাদীয়া রহমানীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান প্রতিবেদককে বলেন, ডিজির প্রতিনিধি যেমনটি দিকনির্দেশনা দিবে তেমনটি হবে। আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো।
এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ( প্রশাসন ও অর্থ ) মোহাম্মদ আবু নঈম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকে জানান, ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস ও অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতয় অন্য যে কোন স্থানে নিয়োগ পরিক্ষা সুসম্পর্ন্ন করার সুযোগ নেই। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যদি এমন স্বীদ্ধান্ত গ্রহন করে তবে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে অবগত করবেন আমি ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার নির্দেশ প্রদান করবো।