ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

ডিমলায় কাকড়া দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ ‘চাকরি পেলো সুপারের দুই মেয়ে’

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৭:০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৯৭৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।

বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর পর দুটি নিয়োগ হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী কাকড়া দাখিল মাদ্রাসায়। আর এই নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে গোপনে, যা এলাকার কেউই বলতে পারেন না। সরেজমিনে গেলে এরকম অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। গোপন সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সুপার আমজাত হোসেন যোগসাজশে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর “অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার” শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে চিঠি প্রকাশ হলে প্রতিষ্ঠানের সুপার আমজাদ হোসেন তাঁর নিজের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকাকে নিয়োগ দেন। পরবর্তী “গবেষণাগার-ল্যাব সহকারী” নবসৃষ্ট পদে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগের নোটিশ পেয়েই গত ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) আবারও গোপনে নিয়োগ দেন। এ নিয়োগটিও মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আমজাদ হোসেনের ছোট মেয়ে নুরে জান্নাত পেয়েছে।

নাম না বলা শর্তে, এলাকাবাসী জানান গত একমাস আগে মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান এর নাতি লিমন ইসলামের সাথে সর্তসাপেক্ষে সুপার আমজাদ হোসেনের মেয়ে নুরে জান্নাত এর বিয়ে হয়। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা কিছুই বলতে পারে না। তাছাড়া সভাপতি ও সুপার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা আরও বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনিয়ম দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ আছে তার সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন অনেকে বলেন, মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসাটিকে নিজের বাপদাদার সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত করে, কাউকে তোয়াক্কা করেন না। নিয়োগ হয়েছে কিনা কেউ জানেন না বলে জানান তাঁরা। মাদ্রাসার সুপার একজন প্রখ্যাত জামাত নেতা বলে জানান অনেকেই, তিনি গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানে সুপারের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে সহকারী শিক্ষকরা জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় আসেনি। মাদ্রাসায় থেকে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে -০১৩০৯১২৪৮১৯ ও ০১৭৩৬১৩৮৬৫৩ এই নাম্বার দুটিতে মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। সভাপতি মতিয়ার রহমান এর সাথে দেখা হলে তিনি নিয়োগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুপারের সাথে কথা বলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিয়োগের বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিধি সম্মত নিয়োগ হয়েছে কিনা জানতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক করতে হয়। তবে মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় কাকড়া দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে নিয়োগ ‘চাকরি পেলো সুপারের দুই মেয়ে’

আপডেট সময় : ০৭:০৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি।

বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর পর দুটি নিয়োগ হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী কাকড়া দাখিল মাদ্রাসায়। আর এই নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে গোপনে, যা এলাকার কেউই বলতে পারেন না। সরেজমিনে গেলে এরকম অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। গোপন সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান ও সুপার আমজাত হোসেন যোগসাজশে এ নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর “অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার” শূন্য পদে নিয়োগের জন্য সুপারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে চিঠি প্রকাশ হলে প্রতিষ্ঠানের সুপার আমজাদ হোসেন তাঁর নিজের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকাকে নিয়োগ দেন। পরবর্তী “গবেষণাগার-ল্যাব সহকারী” নবসৃষ্ট পদে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ডিজির প্রতিনিধি নিয়োগের নোটিশ পেয়েই গত ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) আবারও গোপনে নিয়োগ দেন। এ নিয়োগটিও মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আমজাদ হোসেনের ছোট মেয়ে নুরে জান্নাত পেয়েছে।

নাম না বলা শর্তে, এলাকাবাসী জানান গত একমাস আগে মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান এর নাতি লিমন ইসলামের সাথে সর্তসাপেক্ষে সুপার আমজাদ হোসেনের মেয়ে নুরে জান্নাত এর বিয়ে হয়। তবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁরা কিছুই বলতে পারে না। তাছাড়া সভাপতি ও সুপার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা আরও বলেন, সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অনিয়ম দূর্নীতিসহ নানান অভিযোগ আছে তার সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন অনেকে বলেন, মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসাটিকে নিজের বাপদাদার সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহৃত করে, কাউকে তোয়াক্কা করেন না। নিয়োগ হয়েছে কিনা কেউ জানেন না বলে জানান তাঁরা। মাদ্রাসার সুপার একজন প্রখ্যাত জামাত নেতা বলে জানান অনেকেই, তিনি গ্রেফতার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানে সুপারের সাথে সাক্ষাতে কথা বলতে গেলে সহকারী শিক্ষকরা জানান তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় আসেনি। মাদ্রাসায় থেকে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে -০১৩০৯১২৪৮১৯ ও ০১৭৩৬১৩৮৬৫৩ এই নাম্বার দুটিতে মাদ্রাসার সুপারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। সভাপতি মতিয়ার রহমান এর সাথে দেখা হলে তিনি নিয়োগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সুপারের সাথে কথা বলে আপনাদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি নিয়োগের বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিধি সম্মত নিয়োগ হয়েছে কিনা জানতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক করতে হয়। তবে মাদ্রাসার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।