ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

ডিমলায় তিস্তা নদীর//অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিরব প্রশাসন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৯৬৭৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নবিজুল ইসলাম নবীন, – নীলফামারী প্রতিনিধি:

প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে তিস্তা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেখেও নিরব প্রশাসন। তিস্তা নদী থেকে বালু তোলার জন্য সরকারের অনুমতির নিয়ম থাকলেও প্রভাবশালী ওই মহল কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকাচ সহ আশপাশের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলিরবাজারের পাশ দিয়ে বয়ে
যাওয়া তিস্তা নদীর বালু ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে উত্তোলন করছেন সরকার দলীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্রনেতা ময়নুল হক।

বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হাওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগও করতে সাহস পাচ্ছেন না। দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কাজ চললেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।

যদিও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী চাষাবাদ জমি, বসতবাড়ি, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলেও সরকারের অনুমতি ছাড়াই তিস্তার বালু উত্তোলন করছে এসব ব্যবসায়ী।

একটি সূত্রে জানাযায়, গ্রাম বিকাশ নামের একটি এনজিওর আওতায় ভিটেবাড়ি উচুকরণ কাজে এসব বালু তিস্তা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৮/৯টি সিক্স সিলিন্ডার ও ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন কাজ অব্যাহত রয়েছে, যা দেখার কেউ নেই। গ্রাম বিকাশের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাজান আলী জানান জনসাধারনের উপকারে কারো অনুমতি লাগেনা। তারপর মৌখিক অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

টেপাখড়িবাড়ীর তেলিরবাজারের স্থানীয়দের মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন যেভাবে ভালু উত্তোলন করছে সামনের বর্ষায় ভোগান্তি দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও বসতবাড়িসহ চাষাবাদ জমি গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আপনারা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার ফোনে চেস্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি ইউএনওকে বলেন আমি পুলিশের সাপোর্ট দিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলার চেস্টা করলেও পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় তিস্তা নদীর//অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিরব প্রশাসন

আপডেট সময় : ০৩:০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নবিজুল ইসলাম নবীন, – নীলফামারী প্রতিনিধি:

প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে তিস্তা নদী থেকে ইজারা ছাড়াই অবাধে বালু উত্তোলন করছেন কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি দেখেও নিরব প্রশাসন। তিস্তা নদী থেকে বালু তোলার জন্য সরকারের অনুমতির নিয়ম থাকলেও প্রভাবশালী ওই মহল কিছুই তোয়াক্কা করছেন না। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, বেপরোয়া বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকাচ সহ আশপাশের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি।

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলিরবাজারের পাশ দিয়ে বয়ে
যাওয়া তিস্তা নদীর বালু ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে উত্তোলন করছেন সরকার দলীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্রনেতা ময়নুল হক।

বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হাওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগও করতে সাহস পাচ্ছেন না। দিনে দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন কাজ চললেও প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।

যদিও বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১০ এর ধারা ৫ এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা-৪ এর (খ) অনুযায়ী চাষাবাদ জমি, বসতবাড়ি, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থেকে কমপক্ষে ১ কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা নিষিদ্ধ থাকলেও সরকারের অনুমতি ছাড়াই তিস্তার বালু উত্তোলন করছে এসব ব্যবসায়ী।

একটি সূত্রে জানাযায়, গ্রাম বিকাশ নামের একটি এনজিওর আওতায় ভিটেবাড়ি উচুকরণ কাজে এসব বালু তিস্তা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়াই প্রায় ৮/৯টি সিক্স সিলিন্ডার ও ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন কাজ অব্যাহত রয়েছে, যা দেখার কেউ নেই। গ্রাম বিকাশের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার শাহাজান আলী জানান জনসাধারনের উপকারে কারো অনুমতি লাগেনা। তারপর মৌখিক অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

টেপাখড়িবাড়ীর তেলিরবাজারের স্থানীয়দের মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন, সরকার দলীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন যেভাবে ভালু উত্তোলন করছে সামনের বর্ষায় ভোগান্তি দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও বসতবাড়িসহ চাষাবাদ জমি গুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আপনারা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার ফোনে চেস্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইসুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি ইউএনওকে বলেন আমি পুলিশের সাপোর্ট দিবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলার চেস্টা করলেও পাওয়া যায়নি।