ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

‘ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোনো রোগীর চিকিৎসা হবেনা’

আবির হাসনাত।
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৯৯৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাট ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রোগী দেখতে অনিহা প্রকাশ করেন চিকিৎসক। অনুরোধ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক বলেন, এই মুহূর্তে ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোনো রোগীর চিকিৎসা হবেনা।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুরুন্নবী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোন রোগীর চিকিৎসা হবেনা। আধা ঘণ্টা পরে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান আমার মামা হয়। অনলাইনে সার্স দিয়ে দেখ ওনি কে?’

তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে ভয় দেখান। পাশাপাশি বলেন, ছবি তুলে নিউজ করে আমার কি করতে পারিস কর দেখি।

জানা যায়, গতকাল স্থানীয় সাংবাদিক মতলুব হোসেন অসুস্থ হলে তার স্বজন, সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে গুরুতর অসুস্থ আরও অনেক রোগী থাকলেও ডাক্তারের কোন দেখা মেলেনি। সকল রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের সন্ধানে ছোটাছুটি করছিলেন।

এ সময় জরুরি বিভাগের ভেতর ডাক্তারের রুমের সামনে গিয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক ও সেলিম হোসেন সালাম দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে ডা, নুরুন্নবী ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তা দেখে বেশকিছু রোগীর স্বজনরা ভয়ে চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে চলে যান।

খবর পেয়ে জেলার সাংবাদিকরা এসে ঘটনার তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ তার অপসারণ চান।

বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েলকে জানানো হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোনো রোগীর চিকিৎসা হবেনা’

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

জয়পুরহাট ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রোগী দেখতে অনিহা প্রকাশ করেন চিকিৎসক। অনুরোধ করতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক বলেন, এই মুহূর্তে ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোনো রোগীর চিকিৎসা হবেনা।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ নুরুন্নবী বলেন, ‘এই মুহূর্তে ড. ইউনূসের বাপ আসলেও এখন কোন রোগীর চিকিৎসা হবেনা। আধা ঘণ্টা পরে চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান আমার মামা হয়। অনলাইনে সার্স দিয়ে দেখ ওনি কে?’

তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে ভয় দেখান। পাশাপাশি বলেন, ছবি তুলে নিউজ করে আমার কি করতে পারিস কর দেখি।

জানা যায়, গতকাল স্থানীয় সাংবাদিক মতলুব হোসেন অসুস্থ হলে তার স্বজন, সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে গুরুতর অসুস্থ আরও অনেক রোগী থাকলেও ডাক্তারের কোন দেখা মেলেনি। সকল রোগীর স্বজনরা ডাক্তারের সন্ধানে ছোটাছুটি করছিলেন।

এ সময় জরুরি বিভাগের ভেতর ডাক্তারের রুমের সামনে গিয়ে সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক ও সেলিম হোসেন সালাম দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে ডা, নুরুন্নবী ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। তা দেখে বেশকিছু রোগীর স্বজনরা ভয়ে চিকিৎসা না নিয়েই হাসপাতাল থেকে চলে যান।

খবর পেয়ে জেলার সাংবাদিকরা এসে ঘটনার তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ডাক্তারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিসহ তার অপসারণ চান।

বিষয়টি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ সরদার রাশেদ মোবারক জুয়েলকে জানানো হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।