ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে গারোদের সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব পালিত

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৯৬২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনিসুল হক সুমন, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

গারো বা মান্দি ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ ‘নৈবেদ্য’ আর ‘গালা’ শব্দের অর্থ কোনো কিছু উৎসর্গ করা। নতুন ফসল ঘরে ওঠার আগে শস্য দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ওয়ানগালা উৎসব পালন করে। শুক্রবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ উৎসব পালিত হয়।

সকাল থেকেই ধর্মীয় আচার, গান, নৃত্য ও আলোচনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরে দিনব্যাপী ‘ওয়ানগালা উৎসব’ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন স্বাধীনতার কবি নির্মলেন্দু গুন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্টেশনারী অফিসের উপ-সচিব ব্রেঞ্জন চাম্বুগং, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভার:) পারভীন আক্তার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাজু আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শ.ম জয়নাল আবেদীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কবি আব্দুল্লাহ হক, সাবেক মেয়র কামাল পাশা, সুসং দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সজয় চক্রবর্তী,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, ডক্টর আব্দুর রাশিদ, আদিবাসী গবেষক ক্রসওয়েল খকসি, আদিবাসী নারী নেত্রী সাংবাদিক রাখী দ্রং।

বক্তারা বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি এখন আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এই উৎসব বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করছে। এ উৎসবের আনন্দ এখন সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সার্বজনীন রূপ ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।

বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং বলেন, ‘ওয়ানগালা’ গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাসরত গারো সম্প্রদায় প্রতিবছর তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হিসেবে ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন করেছে। এটি মূলত তাদের কৃষিভিত্তিক উৎসব।

সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। গারো, হাজং, কোচ, বানাই, চাকমা, মারমাসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যগুলোকে আমরা সংরক্ষণ করা সহ চর্চার মধ্যে এগুলো ধরে রাখতে চাই।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্গাপুরে গারোদের সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা উৎসব পালিত

আপডেট সময় : ০৩:২৪:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

আনিসুল হক সুমন, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি।

গারো বা মান্দি ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ ‘নৈবেদ্য’ আর ‘গালা’ শব্দের অর্থ কোনো কিছু উৎসর্গ করা। নতুন ফসল ঘরে ওঠার আগে শস্য দেবতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই গারো সম্প্রদায়ের মানুষ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ওয়ানগালা উৎসব পালন করে। শুক্রবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ উৎসব পালিত হয়।

সকাল থেকেই ধর্মীয় আচার, গান, নৃত্য ও আলোচনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরে দিনব্যাপী ‘ওয়ানগালা উৎসব’ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন স্বাধীনতার কবি নির্মলেন্দু গুন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ স্টেশনারী অফিসের উপ-সচিব ব্রেঞ্জন চাম্বুগং, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভার:) পারভীন আক্তার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রাজু আলীম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শ.ম জয়নাল আবেদীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কবি আব্দুল্লাহ হক, সাবেক মেয়র কামাল পাশা, সুসং দুর্গাপুর সমিতি ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সজয় চক্রবর্তী,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, ডক্টর আব্দুর রাশিদ, আদিবাসী গবেষক ক্রসওয়েল খকসি, আদিবাসী নারী নেত্রী সাংবাদিক রাখী দ্রং।

বক্তারা বলেন, ওয়ানগালা গারো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি এখন আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এই উৎসব বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করছে। এ উৎসবের আনন্দ এখন সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সার্বজনীন রূপ ধারণ করেছে। বর্তমান সরকার জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।

বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং বলেন, ‘ওয়ানগালা’ গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাসরত গারো সম্প্রদায় প্রতিবছর তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হিসেবে ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন করেছে। এটি মূলত তাদের কৃষিভিত্তিক উৎসব।

সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। গারো, হাজং, কোচ, বানাই, চাকমা, মারমাসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যগুলোকে আমরা সংরক্ষণ করা সহ চর্চার মধ্যে এগুলো ধরে রাখতে চাই।

http://এইচ/কে