ঢাকা ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬০৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনের ‘গ্রামীন টেলিকমের’ ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে,বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রাশেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি,ঘটনায় অপর অভিযুক্ত সোহাগ হবিবুর রহমান হলের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে ,দুপুর দেড়টার দিকে একজন মহিলা দোকানে ঢুকে পড়ে। ভুক্তভোগীর দাবি, “তিনি মোবাইল রিচার্জের জন্য দোকানে আসে।” এসময় অভিযুক্ত সোহাগ দোকানে মহিলা আসার কথা বলে ঝাপ নামিয়ে দেন।

এরমধ্যে জিয়া হলের সভাপতি রাশেদ এসে ভুক্তভোগীকে হুমকিধামকি দিয়ে টাকা দাবি করে। ঘটনার এক পর্যায়ে টাকার বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় ক্যাশ থেকে তিনি ৫০ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেদকের কাছে,নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, “ঘটনার সময় আমি পাশের দোকানেই ছিলাম। ওরা(অভিযুক্তরা) এসে তার সাথে ঝামেলা শুরু করে। আমরা কয়েকজন প্রক্টরকে ফোন দিতে চাইলে বলে আগে কিছু কট দিয়ে নিই। এরপর রাশেদ এসে পকেটে টাকা ভরে নিয়ে হবিবুর হলে চলে যায়।”

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি রাশেদ বলেন, আমি দুপুরে খাওয়ার জন্য হলের নিচে আসি,আসার পর দেখি ওই দোকানের সামনে গ্যাঞ্জাম,সেটি হলো দোকানের ভিতর মেয়ে থাকা সিনহা ও সোহাগ মিলে দোকানীকে আটকে রেখেছে,আমি সেখানে যাওয়ার ১ মিনিটের মধ্যে সহকারী প্রক্টর এসে তাদের নিয়ে যায়। আমি কোনো টাকা নেইনি।”

এ বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ বলেন, ক্লাস করে এসে আমি যখন হাফিজুর এর দোকানে যাই তখন এক নারীসহ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। দোকানের সামনে আরো ৭/৮ জন মানুষকে আমি তখন এ ঘটনা ডেকে বলি।

পরবর্তীতে এক বড় ভাই তার দোকানের শাটার নামিয়ে দিয়ে প্রক্টরকে ফোন দেয়। টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি অবগত নয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানী সেলিম বলেন, আমার দোকানের পাল্লা খোলা থাকে। ওই মহিলা মোবাইল রিচার্জ করতে এসে ভিতরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে সোহাগ নামের একজন আসে। আর দোকানে মহিলা থাকায় হুট করে ঝাপ নামিয়ে দেয়।

পরে তার বন্ধুদের আসতে বলে আমাকে আটকে রাখে। এসময় রাশেদ এসে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে,প্রথমে দুই-তিন হাজার টাকা দিতে চাইছিলাম,কিন্তু তিনি জোর করে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই টাকা নেয়ার বিষয়টি একটু আগে জানলাম। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো এছাড়া দোকানীর বিরুদ্ধে যে নারীঘটিত বিষয়ে অভিযোগ সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৫:১৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনের ‘গ্রামীন টেলিকমের’ ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে,বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রাশেদ খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি,ঘটনায় অপর অভিযুক্ত সোহাগ হবিবুর রহমান হলের সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে ,দুপুর দেড়টার দিকে একজন মহিলা দোকানে ঢুকে পড়ে। ভুক্তভোগীর দাবি, “তিনি মোবাইল রিচার্জের জন্য দোকানে আসে।” এসময় অভিযুক্ত সোহাগ দোকানে মহিলা আসার কথা বলে ঝাপ নামিয়ে দেন।

এরমধ্যে জিয়া হলের সভাপতি রাশেদ এসে ভুক্তভোগীকে হুমকিধামকি দিয়ে টাকা দাবি করে। ঘটনার এক পর্যায়ে টাকার বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় ক্যাশ থেকে তিনি ৫০ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এদিকে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন প্রতিবেদকের কাছে,নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, “ঘটনার সময় আমি পাশের দোকানেই ছিলাম। ওরা(অভিযুক্তরা) এসে তার সাথে ঝামেলা শুরু করে। আমরা কয়েকজন প্রক্টরকে ফোন দিতে চাইলে বলে আগে কিছু কট দিয়ে নিই। এরপর রাশেদ এসে পকেটে টাকা ভরে নিয়ে হবিবুর হলে চলে যায়।”

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি রাশেদ বলেন, আমি দুপুরে খাওয়ার জন্য হলের নিচে আসি,আসার পর দেখি ওই দোকানের সামনে গ্যাঞ্জাম,সেটি হলো দোকানের ভিতর মেয়ে থাকা সিনহা ও সোহাগ মিলে দোকানীকে আটকে রেখেছে,আমি সেখানে যাওয়ার ১ মিনিটের মধ্যে সহকারী প্রক্টর এসে তাদের নিয়ে যায়। আমি কোনো টাকা নেইনি।”

এ বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ বলেন, ক্লাস করে এসে আমি যখন হাফিজুর এর দোকানে যাই তখন এক নারীসহ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। দোকানের সামনে আরো ৭/৮ জন মানুষকে আমি তখন এ ঘটনা ডেকে বলি।

পরবর্তীতে এক বড় ভাই তার দোকানের শাটার নামিয়ে দিয়ে প্রক্টরকে ফোন দেয়। টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি অবগত নয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানী সেলিম বলেন, আমার দোকানের পাল্লা খোলা থাকে। ওই মহিলা মোবাইল রিচার্জ করতে এসে ভিতরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে সোহাগ নামের একজন আসে। আর দোকানে মহিলা থাকায় হুট করে ঝাপ নামিয়ে দেয়।

পরে তার বন্ধুদের আসতে বলে আমাকে আটকে রাখে। এসময় রাশেদ এসে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে,প্রথমে দুই-তিন হাজার টাকা দিতে চাইছিলাম,কিন্তু তিনি জোর করে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই টাকা নেয়ার বিষয়টি একটু আগে জানলাম। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো এছাড়া দোকানীর বিরুদ্ধে যে নারীঘটিত বিষয়ে অভিযোগ সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

http://এইচ/কে