ঢাকা ০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

রবিবার থেকে ব্রেক দ্য সাইলেন্স কর্মসূচির ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

মুজাহিদুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯৮৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত মঙ্গলবার থেকে দুই দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে জবি শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞাপ্তি পাঠ করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা এ.কে.এম রাকিব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত মে মাসে লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করার ফলে প্রায় ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য সম্পূরক বৃত্তির দাবি মেনে নেয় সরকার কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাজেট অনুমোদিত হলেও সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।

৫ আগস্ট নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছে-ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনীতি চর্চা নিশ্চিত করতে এবং পেশিশক্তির মহড়া বন্ধ করতে অবশ্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু এই প্রশাসন এতটাই অদক্ষ যে এখনো পর্যন্ত জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি, অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে।

এছাড়াও আরও বলা হয় আগামী রবিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং ঐদিন দুপুর ১২টার মধ্যে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে নীতিমালা অনুমোদন না করা হলে আমরা “ব্রেক দ্য সাইলেন্স” কর্মসূচি পালন করবো, যেখানে ভিসি ভবনের সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা বলেন,”যদি আগামী রবিবারের মধ্যে আমাদের দাবির অগ্রগতি না হয়, তবে শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, এবার বাস্তবায়ন চাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিটি দিনই সংগ্রাম – আবাসনের অভাব, আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে পার করতে হয়। সরকার আর প্রশাসনের অবহেলা প্রমাণ করেছে, তাদের কাছে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি আর জকসু কোনো দয়া নয়, এটা আমাদের অধিকার। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে শিক্ষার্থীরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলবে যা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসনের থাকবে না।
আমাদের লড়াই চলছে, চলমান থাকবে।আমরা থামবো না, মাথা নত করবো না।”

আপ বাংলাদেশের সংগঠক তাওহীদুল ইসলাম বলেন, “জকসু ও সম্পূরক বৃত্তি আমাদের ন্যায্য অধিকার। আমরা জবিয়ান-রা অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সবসময় ঐক্যবদ্ধ ও অনড়।প্রশাসন যদি রবিবারের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়,তবে রবিবার থেকে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন,” অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমরা দুইদিন যাবত এখানে আন্দোলন করছি কিন্তু প্রশাসন থেকে কোন যোগাযোগ করা হয়নি তারা আসলে ঘুমিয়ে আছে এজন্য আমাদের জকসু এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ব্রেক দা সাইলেন্স কর্মসূচি দিয়েছি । রবিবারে যদি বিশেষ সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা পাস না করে তাহলে ভিসি রুমের সামনে আমরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করবো।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রবিবার থেকে ব্রেক দ্য সাইলেন্স কর্মসূচির ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৯:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫

গত মঙ্গলবার থেকে দুই দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে জবি শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞাপ্তি পাঠ করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা এ.কে.এম রাকিব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় গত মে মাসে লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করার ফলে প্রায় ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য সম্পূরক বৃত্তির দাবি মেনে নেয় সরকার কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাজেট অনুমোদিত হলেও সম্পূরক বৃত্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।

৫ আগস্ট নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে দাবি জানিয়ে আসছে-ক্যাম্পাসে সুস্থ রাজনীতি চর্চা নিশ্চিত করতে এবং পেশিশক্তির মহড়া বন্ধ করতে অবশ্যই ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু এই প্রশাসন এতটাই অদক্ষ যে এখনো পর্যন্ত জকসুর নীতিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি, অথচ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা হয়েছে।

এছাড়াও আরও বলা হয় আগামী রবিবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি চলমান থাকবে এবং ঐদিন দুপুর ১২টার মধ্যে বিশেষ সিন্ডিকেট সভা ডেকে নীতিমালা অনুমোদন না করা হলে আমরা “ব্রেক দ্য সাইলেন্স” কর্মসূচি পালন করবো, যেখানে ভিসি ভবনের সকল কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আপ বাংলাদেশের নেতা মাসুদ রানা বলেন,”যদি আগামী রবিবারের মধ্যে আমাদের দাবির অগ্রগতি না হয়, তবে শিক্ষার্থীরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আর প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, এবার বাস্তবায়ন চাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিটি দিনই সংগ্রাম – আবাসনের অভাব, আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে পার করতে হয়। সরকার আর প্রশাসনের অবহেলা প্রমাণ করেছে, তাদের কাছে আমাদের কোন গুরুত্ব নেই। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের আবাসন বৃত্তি আর জকসু কোনো দয়া নয়, এটা আমাদের অধিকার। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে শিক্ষার্থীরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলবে যা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা প্রশাসনের থাকবে না।
আমাদের লড়াই চলছে, চলমান থাকবে।আমরা থামবো না, মাথা নত করবো না।”

আপ বাংলাদেশের সংগঠক তাওহীদুল ইসলাম বলেন, “জকসু ও সম্পূরক বৃত্তি আমাদের ন্যায্য অধিকার। আমরা জবিয়ান-রা অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সবসময় ঐক্যবদ্ধ ও অনড়।প্রশাসন যদি রবিবারের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়,তবে রবিবার থেকে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।”

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন,” অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় আমরা দুইদিন যাবত এখানে আন্দোলন করছি কিন্তু প্রশাসন থেকে কোন যোগাযোগ করা হয়নি তারা আসলে ঘুমিয়ে আছে এজন্য আমাদের জকসু এবং সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ব্রেক দা সাইলেন্স কর্মসূচি দিয়েছি । রবিবারে যদি বিশেষ সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা পাস না করে তাহলে ভিসি রুমের সামনে আমরা অবস্থান কর্মসূচী পালন করবো।”