ঢাকা ০৯:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

শেখ হাসিনার সময়ে কে কত মিথ্যে বলতে পারে এই প্রতিযোগীতা ছিলো- ডা. শফিকুর রহমান

নজিবুল ইসলাম নবীন।
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৯৬৯৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নামে খুন, গুম ও হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। ন্যায্য বিচার চাই।

শেখ হাসিনার সময় বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে, অন্যায় করা হয়েছে ফরমায়েশি রায় প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জেলা শহরের পৌরসভা মাঠে কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলামের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গেল ১৫বছর জামায়াতের নেতা কর্মীদের উপর নির্মম অচ্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে।

দলীয় কার্যালয়গুলো সীলগালা করে দেয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতা কর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয় বিরোধী মতের সকলের উপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

বলেন, অন্যায়ের বিচার হতে হবে না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে অপরাধ কমবে না। শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও একই রকমের ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারবে সেই প্রতিযোগীতা ছিলো গেল ১৫বছরে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। শেখ হাসিনার নিদের্শেই এটি করা হয়।

গেল ১৫বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে তা ছিলো শেখ হাসিনার মদদেই।

দলীয় নেতা কর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, জামায়াত কোন অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।

এদিকে কর্মীসভা ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয় নীলফামারী শহরে। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত মানুষের ছিলো উপচেপড়া ভীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার সময়ে কে কত মিথ্যে বলতে পারে এই প্রতিযোগীতা ছিলো- ডা. শফিকুর রহমান

আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার নামে খুন, গুম ও হত্যা মামলা হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার চাই। ন্যায্য বিচার চাই।

শেখ হাসিনার সময় বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে, অন্যায় করা হয়েছে ফরমায়েশি রায় প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জেলা শহরের পৌরসভা মাঠে কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সভায় কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলামের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গেল ১৫বছর জামায়াতের নেতা কর্মীদের উপর নির্মম অচ্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে।

দলীয় কার্যালয়গুলো সীলগালা করে দেয়া হয়। বাড়িতেও থাকতে পারেনি নেতা কর্মীরা। বাড়িতে বসলেও জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। শুধু জামায়াত নয় বিরোধী মতের সকলের উপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

বলেন, অন্যায়ের বিচার হতে হবে না হলে অন্যায়কারীরা উৎসাহ পাবে অপরাধ কমবে না। শেখ হাসিনা যেমন ছিলেন তার উজির নাজিররাও একই রকমের ছিলেন। কে কত মিথ্যা বলতে পারবে সেই প্রতিযোগীতা ছিলো গেল ১৫বছরে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের নামে মেধাবী চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় পরিকল্পিতভাবে। শেখ হাসিনার নিদের্শেই এটি করা হয়।

গেল ১৫বছরে যত অন্যায় অত্যাচার জুলুম করা হয়েছে তা ছিলো শেখ হাসিনার মদদেই।

দলীয় নেতা কর্মীদের আইন হাতে তুলে না নেয়ার পরামর্শ দিয়ে জামায়াতের আমীর বলেন, জামায়াত কোন অন্যায় করবে না, অত্যাচার করবে না। মানুষের ক্ষতি করবে না। যেখানে অন্যায় দেখবেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন।

এদিকে কর্মীসভা ঘিরে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয় নীলফামারী শহরে। অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্ত মানুষের ছিলো উপচেপড়া ভীর।