সাংবাদিকের উপর হামলা/ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ১০:৪৪:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৬৮ বার পড়া হয়েছে
রাজু আহমেদ॥
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মানবজমিন পত্রিকা ও এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের উপর হামলা ও তার বিরুদ্ধে সেই মাদক কারবারী পরিবারের মানববন্ধনের প্রতিবাদে ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১২টায় উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত সাংবাদিক সুজন খন্দকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়া সাংবাদিকরা।
এসময় তিনি লিখিত অভিযোগে বলেন হামলাকারী সোহেলের গ্রেফতার দাবী করে দ্রুত বিচারের দাবী করেন। তিনি বলেন জনোনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে সেই ধারাবাহিকতায় সৎ ও নিষ্ঠাবান এর সাথে আমি কাজ করে যাচ্ছি।
মাদকের আতর ঘর খ্যাত দৌলতদিয়া সেখানে অবাধে চলে মাদক সেবন ও বেচাকেনা। পুলিশি অভিযানে সেবনকারী ও মাদক কারবারি আটক হলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার তারা মাদক ব্যাবসায় লিপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, গত ০২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকায় “দৌলতদিয়া প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা ” সংবাদ প্রকাশ পায়। সেখানে অনেক মাদক কারবারির নাম এসেছে যাদের প্রত্যেকের প্রমান আমার কাছে রয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম দৌলতদিয়া শহিদ ডাক্তারের (পল্লী চিকিৎসকের ) ছেলে সোহেল ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তার মা একজন পতিতা ছিল এবং শহীদ ডাক্তারের তিন বউয়ের ঘরে চার ছেলে যারা মাদক কারবারি হিসাবে দুই একজন জেল খেটেছে এবং জেলে আছে।
সম্প্রতি ৭০২৫ পিচ ইয়াবাসহ তার বড় ভাই মনির রাজবাড়ী জেলা ডিবির হাতে ধরা পরে। এছাড়া তার ভাই ফারুক ও তার বাবা শহিদ ডাক্তারের নামেও মামলা রয়েছে। সে বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
কিন্তু গতকাল তারা গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন করে সেখানে তারা সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রদান করে। এই মানববন্ধনে অনেক মাদক কারবারি অংশ গ্রহণ করে বলে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে নিশ্চিত করেন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন তার নামে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে কোন বাড়ী নেই। সাংবাদিকতা করেন এবং এর আগে ও মাদকের বিরুদ্ধে অনেক সংবাদ প্রকাশ করেছেন বলে জানান। তিনি ভবিষ্যতে ও মাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবেন বলে জানান। তিনি সঠিক তদন্ত করে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ বিষয় গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, কলেজ ছাত্র সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় কোন ধরনের মামলা নেই। তবে সোহেলের পরিবার মাদকের সাথে জড়িত।
আমরা এখন পর্যন্ত সোহেলকে মাদকসহ পাইনি। তবে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে এমন কিছু পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।তিনি আরো বলেন এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক সুজন খন্দকার কে কথিত সাংবাদিক বলার সুযোগ নেই।
















