স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও// ন্যায় বিচার পাওয়ার আন্দোলন দুঃখজনক
- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬১৩ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি॥
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতির সূর্য সন্তানেরা বাঙালিকে নিয়ে যা ভাবতেন তার প্রতিফলন আমাদের সংবিধান।
আমরা যদি এই সংবিধান মনে ধারণ করে কাজেকর্মে প্রতিফলন ঘটাতে পারি তাহলে সমতা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করা লাগবে না। কিন্তু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরেও ন্যায় বিচারের জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হয় এটি আসলেই দুঃখজনক।
শুক্রবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও আইন বিভাগের যৌথ আয়োজনে ‘আইন চর্চা ও আইনের শাসন: মানবাধিকার সুরক্ষা জন অধিকার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপি সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. হাসিবুল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনের স্বপ্ন ছিল শোষণমুক্ত, সমতা ভিত্তিক ও ন্যায় বিচার সম্পন্ন একটি সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠিত করা।
আমরা এখন সবাই নামমাত্র বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। কিন্তু আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের কোটি ভাগের এক ভাগ বাস্তবায়ন করতে পারতাম তাহলে আজকের বাংলাদেশে কোনো অসাম্য থাকতো না ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হতো না।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন। তিনি আইনকে শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তাঁর কন্যা কোন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।
ইনডেমনিটি নামক আইনের মাধ্যমে বিচারের পথ অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। বর্তমানে সংবিধানকে ধারণ করে আইনের সকল প্রতিবন্ধকতার শিকড়কে উপয়ে ফেলে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহজাবিন কথার সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সুলতান-উল-ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের শিক্ষকসহ বিভিন্ন বর্ষের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।