ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
ব্রাহ্মণপাড়া স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের অনলাইন প্রেজেন্টস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন শানাকা ক্যাচ আউট, রান আউট, তারপরও নটআউট, সুপার ওভারে আসলে কী ঘটেছিল পাকিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার হার, সহজ যে সমীকরণ মেলালেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ খুমেকে জোর করে অক্সিজেন খুলে নেয় ক্লিনার, একটু পরেই রোগীর মৃত্যু জকসু সহ ২ দাবিতে জবি শিবিরের কঠোর কর্মসূচি জবির অর্ধ-কোটি টাকার লিফট নির্মাণে অর্থের লুটপাট জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ছাত্রফ্রন্ট নেতা ওমর ফারুক এর শুভেচ্ছা বার্তা বাস স্ট্যান্ড অপসারণের ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম জবি শিক্ষার্থীদের দেশে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস মনিটরিং ব্যবস্থা চালু ইতিহাস বিভাগকে হারিয়ে জুলাই রেভুলেশন ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন একাউন্টিং বিভাগ

এক ধাক্কায় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর কমলো একটি বড় কারণে

তাহমিন নূর ইশা
  • আপডেট সময় : ০৫:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৯৮৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে পাঁচ বছর কমছে। এর একটি বড় কারণ হলো- বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং শুধু বায়ুদূষণ। ধূমপান ২ বছর এবং শিশু ও মাতৃকালের পুষ্টিহীনতা ১ দশমিক ৪ বছর জীবনকাল কমিয়ে দেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বস্তুকণা দূষণ (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার মান পূরণ করলে একজন বাংলাদেশি গড়ে সাড়ে পাঁচ বছর দীর্ঘজীবী হতে পারেন।

দেশের সবচেয়ে দূষিত এলাকা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা। এ কারণে একজন বাসিন্দার জীবনকাল সাড়ে ৬ বছর হ্রাস পায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ুদূষণই জীবনকাল হ্রাসের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক হুমকি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ এমন অঞ্চলে বসবাস করছে, যেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা এবং দেশের জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও কণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকার সাতগুণ বেশি।

১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কণা দূষণের মাত্রা ৬৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ফলে মানুষের জীবনকাল আরও ২ দশমিক ৪ বছর হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দূষণ দেশের জাতীয় মান অনুযায়ী হ্রাস করলে জীবনকাল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ৩ দশমিক ৩ বছর বাড়তে পারত।

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ুদূষণেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে ২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে বায়ুদূষণ ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু তিন বছর এবং সবচেয়ে দূষিত এলাকায় আট বছরেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলছে, প্রাকৃতিক দাবানল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বায়ুর মান খারাপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের ঘনত্ব ও পুনরাবৃত্তি বেড়েছে, যা পূর্বে অর্জিত স্বচ্ছ বাতাসের অগ্রগতি বিপরীতমুখী করছে।

একিউএলআই পরিচালক তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেছেন, এখনও বায়ুদূষণই বিশ্বের মানুষের জীবনকাল ছোট হওয়ার প্রধান কারণ।

জীবাশ্ম জ্বালানির উৎসে মনোযোগ দিলে স্থানীয় বায়ু পরিষ্কার হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। দেশগুলোকে সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি প্রণয়নের সক্ষমতা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এক ধাক্কায় বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫ বছর কমলো একটি বড় কারণে

আপডেট সময় : ০৫:০৩:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে পাঁচ বছর কমছে। এর একটি বড় কারণ হলো- বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ এবং শুধু বায়ুদূষণ। ধূমপান ২ বছর এবং শিশু ও মাতৃকালের পুষ্টিহীনতা ১ দশমিক ৪ বছর জীবনকাল কমিয়ে দেয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বস্তুকণা দূষণ (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার মান পূরণ করলে একজন বাংলাদেশি গড়ে সাড়ে পাঁচ বছর দীর্ঘজীবী হতে পারেন।

দেশের সবচেয়ে দূষিত এলাকা গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা। এ কারণে একজন বাসিন্দার জীবনকাল সাড়ে ৬ বছর হ্রাস পায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ুদূষণই জীবনকাল হ্রাসের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক হুমকি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ এমন অঞ্চলে বসবাস করছে, যেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা এবং দেশের জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও কণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকার সাতগুণ বেশি।

১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কণা দূষণের মাত্রা ৬৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। ফলে মানুষের জীবনকাল আরও ২ দশমিক ৪ বছর হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দূষণ দেশের জাতীয় মান অনুযায়ী হ্রাস করলে জীবনকাল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ৩ দশমিক ৩ বছর বাড়তে পারত।

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ুদূষণেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে ২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে বায়ুদূষণ ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু তিন বছর এবং সবচেয়ে দূষিত এলাকায় আট বছরেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরো বলছে, প্রাকৃতিক দাবানল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বায়ুর মান খারাপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের ঘনত্ব ও পুনরাবৃত্তি বেড়েছে, যা পূর্বে অর্জিত স্বচ্ছ বাতাসের অগ্রগতি বিপরীতমুখী করছে।

একিউএলআই পরিচালক তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেছেন, এখনও বায়ুদূষণই বিশ্বের মানুষের জীবনকাল ছোট হওয়ার প্রধান কারণ।

জীবাশ্ম জ্বালানির উৎসে মনোযোগ দিলে স্থানীয় বায়ু পরিষ্কার হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। দেশগুলোকে সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি প্রণয়নের সক্ষমতা প্রয়োজন।