কক্সবাজারে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন॥
কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলায় পাষণ্ড স্বামী ও তার পরিবারের দাবিকৃত যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী বোরহান উদ্দিন ও তার পরিবার মিলে শাকিলা নূর সুমি নামের এক নববধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।নিহত শাকিলা নুর সুমি একই এলাকার শফি উল্লাহর কন্যা।
গত (৩১ আগস্ট)সকাল সাড়ে ১১টায় পিএমখালীর ছনখোলার ঘোনারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাকিলা নুর সুমির পিতা শফি উল্লাহ বলেন, গত ৫ জুন আমার মেয়ে শাকিলা নুর সুমির সাথে ছনখোলার পশ্চিম ঘোনারপাড়ার বাসিন্দা এখলাছ মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে মেয়ের জামাই বোরহান উদ্দিন ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে।
পরে এই বিষয়ে আমি জানতে পেরে মেয়ের জামাই বোরহানকে একটি মোটরসাইকেল ও ৩ লাখ টাকা দিয়ে আসি। এ ঘটনার কিছুদিন পার না হতেই বোরহান ও তার পরিবার পুনরায় যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন শুরু করে।
আমার মেয়ে সুমি তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মেয়ের জামাই বোরহান উদ্দিন ও তার পরিবারের সবাই মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে দিনদুপুরে ঘরে আটকে বেধড়ক মারধর করে হত্যা করে আমার মেয়ে সুমিকে।আমার মেয়ের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগীতা কামনা করছি।
নিহত সুমির মা সেলিনা আক্তার বলেন,আমার মেয়ে শাকিলা নুর সুমির সাথে বিয়ে হওয়ার পর থেকে বোরহান ও তার পরিবার সুমিকে যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছে।
মেয়ের উপর অত্যাচার সয়তে না পেরে মেয়ের পিতা শফি উল্লাহ অনেক কষ্টে জামাই বোরহানকে মোটরসাইকেল ও ৩লাখ টাকা দেয়।সেই টাকা বোরহান নেশা ও বেপরোয়া চলাফেরা করে খরচ করে শেষ করে এবং মোটরসাইকেলও বিক্রি দেয়।টাকা শেষ হওয়ার পর আবার বোরহান তার বউ সুমিকে টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছিল। এমনকি আমার মেয়ের বিয়ের স্বর্ণ পর্যন্ত চিনিয়ে নিয়েছিল।আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এঘটনায় নিহত শাকিলা নুর সুমির মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)শেখ মনির উল গিয়াস বলেন,আমরা এজাহার পেয়েছি ও মামলাও হয়েছে এবং এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
















