কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান/ নুরুল আবছার কে কক্সবাজারবাসীর বরণ
- আপডেট সময় : ১০:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬৭২ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন॥
সৈকত নগরী দরিয়া নগর কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবগত চেয়ারম্যার নৌ-বাহিনীর সাবেক কমডোর মোঃ নুরুল আবছার কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছালে কক্সবাজারের রাজনীতিক সংগঠন, পেশজীবি সংগঠন, প্রেস ক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক রিপোর্টাস, সামাজিক সংগঠকবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে বরণ করেনেন।
এই সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন নবগত চেয়ারম্যান কমডোর মোঃ নুরুল আবছার।
কক্সবাজারবাসীর অনেক প্রত্যাশা, কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের নবগত চেয়ারম্যানের প্রতি, সে প্রত্যেশা পূরণে আপনার কতটুকু দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আছে কক্সবাজারের প্রতি?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমি মিডিয়া কর্মী ও কক্সবাজারবাসীকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করার জন্য।
আমি কক্সবাজারের সন্তান, কক্সবাজার সন্তান হিসেবে আমি চাইবো, আমাদের এই জেলাটা, আমাদের শহরটা যেন সুন্দর হয়, এবং ভবিষ্যৎ যেন একটা আইকনিক সিটিতে রুপান্তরিত হয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুযোগ্য নেতৃত্বে। সে অগ্রযাত্রায় আমরাও অংশীদার হবো।
বাংলাদেশ কিন্তু এক্সপেরাল মুভিস ফোরকাস ডেভেলপমেন্ট হবে আগামী দশবছরে, ক্লাইমেন্ট চেইঞ্জ আসবে। আমরা যখন ডেভেলপ করব, ইনশাআল্লাহ আমাদের শহরগুলোও ইকোনিমিকভাবে ডেভেলপ হবে, চেইঞ্জ হবে।
আমাদের শহরের দিকে, ক্লাইমেন্ট চেইঞ্জের দিকে নজর দিতে হবে। আরেকটা জিনিস, আমি কক্সবাজারকে আরেকটা নতুন আঙ্গিকে আনতে চাই। আপনারা যদি বাংলাদেশ ম্যাপের দিকে থাকান, তাহলে কক্সবাজার শহরটা হচ্ছে একটা ক্রস রোড অফ ইস্ট এন্ড ওয়েস্ট, তারমানে আজকের বু-রাজনীতিক ডাইভিলিটি চলছে। সেখানে সেন্টারে প্লাস রোহিঙ্গা ইস্যু সবকিছু মিলিয়ে কিন্তু কক্সবাজার অন্যান্য স্থান।
আমরা যদি সব কক্সবাজারবাসী, আমরা সবাই মিলে সম্মিলিত ভাবে কাজ করি তাহলে ইনশাআল্লহ, আমাদের এই কক্সবাজারকে উন্নত করতে পারব এবং আমি আপনাদের সকলের সহযোগীতা কামনা করব ও দোয়া কামনা করি। যাতে করে আমি ভবিষ্যত সুন্দর কক্সবাজার উপহার হিসেবে দিতে পারি।
আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন গর্ব করে। আমার মনে আছে, আমি যখন ছোট বেলায় কক্সবাজার বীচে ঘুরতাম তখন কত সুন্দর ছিলো। সেটা এখন কিন্তু কিছুটা ম্লানের দিকে। কারণ প্ল্যানিং ভাগে কোন কিছু ঠিক ছিলো না এবং সবদিকে অপরিকল্পিতভাবে হচ্ছে।
আমাদের এদিকে এড্রেস করতে হবে, যাতে করে ভবিষ্যৎ পরবর্তী প্রজন্ম গর্ব করে কক্সবাজারকে নিয়ে।
কক্সবাজারের প্রধান সড়ক গুলো বেহাল দশায় আজকে প্রায় সাড়ে তিনবছর। যারা মেরামতের কাজ করতেছে তারা লোকবল কম দিয়ে কাজ করার কারণে আমরা বেকায়দায়! সেটা কিভাবে নিরসন করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিতো প্রথম আসলাম, আমি দেখব যে, আপনাদের প্রধান প্রধান সমস্যা গুলো কি কি, সেটা দেখবো এবং সেটা দ্রুত কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা দেখব। কিভাবে আপনাদের দুঃখ দুর্দশা লাগব করা যায় সেটা দেখব।
তিনি সাংবাদিক আবার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কার্যালয়ের উদ্দ্যেশে রওনা করেন।
















