কক্সবাজার পৌরসভায় ৬ মাসে ২২ দফা কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা মেয়র মাহাবুবের
- আপডেট সময় : ০৪:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
- / ৯৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন।।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী আগামী ৬ মাসের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তার কর্মদিবসের প্রথমদিনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ২২ টি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
রবিবার ( ২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার সময় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মলেন মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী মাবু বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য ঘোষিত কর্মপরিকল্পনাগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. রাত্রিকালীন ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ ও পরিস্কার করা হবে।
২. পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শহর গড়ে তুলতে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহে প্রত্যেক বাসা, আবাসিক ভবন, আবাসিক হোটেল ও রেঁস্তোরায় তিন সাইজের পলিব্যাগ ব্যবহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৩. ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য খোলা জায়গা, ড্রেন ও যত্রতত্র ফেলা থেকে পৌরবাসীকে বিরত রাখার জন্য নিরুৎসাহিত করা সহ বিশেষ জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
৪. পৌরসভায় বর্তমানে কর্মরত সেবকদের (পরিচ্ছন্নতা কর্মী) চাকরীতে বহাল রেখে কনজারভেন্সী শাখাকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেসরকারী সংস্থাকে শহর সার্বক্ষনিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রাখতে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
৫. কক্সবাজার পৌর এলাকায় বিদ্যমান সকল বড় ও মাঝারী আকারের ছরা, খাল ও নর্দমাগুলো পরিস্কার করে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করা হবে।
৬. অবৈধভাবে দখল করা নালা, ফুটপাত ও পৌরসভার মালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত জায়গা-জমি দখলমুক্ত করে পৌরসভার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে কস্তুরা ঘাট, জেটি ঘাট খনন করে চলাচল উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে ।
৮. বাহারছড়ার মুরুং ছরা হতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শশ্মান পর্যন্ত পৌরসভার ছরা-ড্রেনের উপর যে সমস্ত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
৯. ঘোনার পাড়া হয়ে বাজারঘাটা থেকে পেশকারপাড়া স্লুইচ গেইট পর্যন্ত এলাকার সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
১০. টেকপাড়া হয়ে আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্লুইস গেইট পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত করা হবে।
১১. পাহাড়তলী-রুমালিয়ারছড়া-মাঝেরঘাট পর্যন্ত নালা-নর্দমা থেকে অবৈধ দখলাদার উচ্ছেদ করে তা খনন করা হবে।
১২. শহরের বিভিন্ন অলি-গলির ফুটপাত দখলমুক্ত করা হবে। প্রকৃত হকারদের স্থায়ী পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
১৩. অবৈধ সকল টমটমকে কক্সবাজার পৌর এলাকায় কোনভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি সকল অবৈধ টমটম যাতে পৌর শহরে চলাচল করতে না পারে সেই বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১৮ বছর বয়সের নিচে কাউকে ও টমটম চালাতে দেওয়া হবে না, এই লক্ষে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। রোহিঙ্গা চালকরাও টমটম চালাতে পারবে না।
১৪. অন্য উপজেলার কোন চালক কক্সবাজার পৌরসভায় টমটম চালাতে চাইলে তাকে মা-বাবা, ভাই-বোনের এনআইডি প্রদান করতে হবে ও কক্সবাজার পৌরসভার স্থায়ী একজন বাসিন্দা জিম্মাদার হতে হবে এবং পৌরসভা থেকে বিনামূল্যে টমটম চালকের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে।
১৫. পৌরসভার ড্রেনগুলো বছরে চারবার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খনন করা হবে।
১৬. পৌরসভার মালিকানাধীন খতিয়ানভুক্ত অবৈধ দখলকৃত জায়গা-জমিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে দখলমুক্ত করে পৌরসভায় আয়বর্ধনমূলক বাণিজ্যিক ভবন, মার্কেট, শপিংমল, এপার্টমেন্ট তৈরী করা করা হবে।
১৭. দ্রুত সময়ের মধ্যে অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বিশেষ করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা রোড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, বড়বাজার সড়ক, পেশকারপাড়া সড়ক, টেকপাড়া মসজিদ সড়কসহ ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক টেকসই সংস্কার করা হবে।
১৮. যারা পৌরসভার অবৈধ নালা-নর্দমা, ছরা ইত্যাদি দখল করে আছে তা দখলমুক্ত করতে সহযোগিতা প্রদান করবে তাদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান পূর্বক শতকরা ২০ থকে ৩০ ভাগ পৌর কর মওকুফ করা হবে।
১৯. কক্সবাজার পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো অবৈধভাবে দখল করে যত্রতত্র বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের অস্থায়ী স্ট্যান্ড (পার্কিং) করা হয়েছে তা জনস্বার্থে উচ্ছেদ করা হবে।
২০. কক্সবাজার পৌরসভায় সকল প্রকার নাগরিক সেবা দ্রুত প্রাপ্তি ও সহজলভ্য করে হয়রানি ও ভোগান্তি বন্ধ করতে পৌরসভা কার্যালয়ের সকল শাখাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হবে।
২১. বর্তমান সরকারের দূর্নীতির ব্যাপারে গৃহিত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে কক্সবাজার পৌরসভার সকল কাজে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করা হবে। পৌর নাগরিকদের অভিযোগ গ্রহণ করে তা সমাধানের জন্য নিয়মিত গণশুনানীর আয়োজন করা হবে। কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা ত্বরিৎ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২২. পৌর নাগরিকদের হয়রানি ও ভোগান্তি দূর করতে কাংখিত সকল নাগরিক সেবা ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রদান করা হবে।
এই সময় সকল সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।