ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

আহসান মঞ্জিলে জাতীয় ইনভেন্টরি কন্টেন্ট প্রস্তুত বিষয়ক কর্মশালা

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩
  • / ৯৬১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জবি সংবাদদাতা

বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (আইসিএইচ) জাতীয় ইনভেন্টরি প্রস্তুত, পরিচিতি ও কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইনভেন্টরি প্রস্তুত, পরিচিতি ও কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট।

শনিবার সকাল ১০টায় আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান। এসময় দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্য একটি কমিউনিটি কর্তৃক প্রস্তুত ও কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে তা অ্যাপে আপলোড করার প্রক্রিয়া দেখানো হয়।

উক্ত কর্মশালায়  মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি কালচারাল সংস্থা সাধনা’র প্রতিষ্ঠাতা লুবনা মারিয়াম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত ভৌমিক, উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কীপার আসমা ফেরদৌসী।

জানা যায়, ২০০৩ সালের ইউনস্কো কনভেনশন অফ ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ (আইসিএইচ) সুরক্ষা সনদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত সকল আইসিএইচ উপাদানসমূহ এবং রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে বিদ্যমান সেই সকল সাংস্কৃতিক চর্চা অনুশীলনকারী সকল সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি সাধনা, উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি প্রসার কেন্দ্র, যা ইউনেস্কোর আইসিএইচ কমিটি স্বীকৃত এনজিও, বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠিকে ক্ষমতায়ীত করার লক্ষ্যে, আইসিএইচ-পেডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা তৈরির উচ্চাভিলাষী কাজটি গ্রহণ করেছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল জনগোষ্ঠি তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চা সম্পর্কিত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারবে, যা বিশেষজ্ঞের দ্বারা যাচাইয়ের পরে প্রকাশিত হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে সাধনা, তরুণ ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষাবীদদের ‘আইসিএইচ ইনভেন্টরিয়িং’ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে এবং তাদেরকে ‘আইসিএইচ সুরক্ষার জন্যে ‘ফোর গোল কৌশল’ গ্রহণ করতে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।

মূল বক্তা লুবনা মারিয়াম তার বক্তব্যের মাধ্যমে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ঐতিহ্য কে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে ইউনেস্কো কতৃক স্বীকৃত দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।

সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঢাকার রিকশা, নকশিকাথা ইত্যাদি লিস্ট করা হয়েছে। আমরা ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত পাওয়ার জন্য কাজ করছি। এছাড়াও অনেক ঐতিহ্যের ইনভেন্টরি লিস্ট তৈরি করে কাজ করার চেষ্টা করছি।

সভাপতির বক্তব্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইতোপূর্বে জাতীয় ইনভেন্টরি বাধ্যতামূলক ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে আমরা যদি এটি না করতে পারি তাহলে আমরা ইউনস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাবো না। এ কারণে জাতীয় ইনভেন্টরি করা একেবারেই বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে৷ আমরা বর্তমানে ন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে কাজ করছি। এই কাজটি করতে হলে আমাদের অবশ্যই ইউনেস্কো এর প্রটোকল অনুযায়ী করতে হবে।

আর তার জন্য প্রয়োজন হবে একটি মানসম্মত সফটওয়্যারের। তা না হলে কিন্তু আমি আমার কন্টেন্ট আপলোড দিলেও তা স্বীকৃতি পাবে না। এ জন্য দুইটি কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ— কমিউনিটিকে এর সাথে যুক্ত করা এবং তাদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়া। কারণ এই সফটওয়্যারে কমিউনিটি পর্যায় থেকেই কন্টেন্ট আপলোড করা হবে। আর কন্টেন্ট আপলোড করার প্রক্রিয়া নিয়েই আজকের এই কর্মশালা।

তিনি আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি জাতীয় জাদুঘর থেকে একটি টিম বানানোর এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার। কাজগুলো ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে থেকেই ট্রেইনার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। আশা করি আমরা ভবিষ্যতে শিল্পকলার ট্রেইনারদের মাধ্যমে আরো উন্নত কর্মশালার আয়োজন করবো এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কমিউনিটিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংস্কৃতিক ঐতিহ্যেগুলো নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ধারা বজায় রাখবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আহসান মঞ্জিলে জাতীয় ইনভেন্টরি কন্টেন্ট প্রস্তুত বিষয়ক কর্মশালা

আপডেট সময় : ০২:০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

জবি সংবাদদাতা

বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের (আইসিএইচ) জাতীয় ইনভেন্টরি প্রস্তুত, পরিচিতি ও কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ইনভেন্টরি প্রস্তুত, পরিচিতি ও কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট।

শনিবার সকাল ১০টায় আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান। এসময় দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্য একটি কমিউনিটি কর্তৃক প্রস্তুত ও কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে তা অ্যাপে আপলোড করার প্রক্রিয়া দেখানো হয়।

উক্ত কর্মশালায়  মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি কালচারাল সংস্থা সাধনা’র প্রতিষ্ঠাতা লুবনা মারিয়াম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্মসচিব সুব্রত ভৌমিক, উপসচিব কাজী নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কীপার আসমা ফেরদৌসী।

জানা যায়, ২০০৩ সালের ইউনস্কো কনভেনশন অফ ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ (আইসিএইচ) সুরক্ষা সনদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার ফলে বাংলাদেশ তার রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত সকল আইসিএইচ উপাদানসমূহ এবং রাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে বিদ্যমান সেই সকল সাংস্কৃতিক চর্চা অনুশীলনকারী সকল সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্প্রতি সাধনা, উপমহাদেশীয় সংস্কৃতি প্রসার কেন্দ্র, যা ইউনেস্কোর আইসিএইচ কমিটি স্বীকৃত এনজিও, বাংলাদেশের সকল জনগোষ্ঠিকে ক্ষমতায়ীত করার লক্ষ্যে, আইসিএইচ-পেডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা তৈরির উচ্চাভিলাষী কাজটি গ্রহণ করেছে।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকল জনগোষ্ঠি তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক চর্চা সম্পর্কিত তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারবে, যা বিশেষজ্ঞের দ্বারা যাচাইয়ের পরে প্রকাশিত হবে। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে সাধনা, তরুণ ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষাবীদদের ‘আইসিএইচ ইনভেন্টরিয়িং’ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে এবং তাদেরকে ‘আইসিএইচ সুরক্ষার জন্যে ‘ফোর গোল কৌশল’ গ্রহণ করতে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।

মূল বক্তা লুবনা মারিয়াম তার বক্তব্যের মাধ্যমে বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ঐতিহ্য কে চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন এবং বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে ইউনেস্কো কতৃক স্বীকৃত দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।

সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ঢাকার রিকশা, নকশিকাথা ইত্যাদি লিস্ট করা হয়েছে। আমরা ইউনেস্কো কর্তৃক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত পাওয়ার জন্য কাজ করছি। এছাড়াও অনেক ঐতিহ্যের ইনভেন্টরি লিস্ট তৈরি করে কাজ করার চেষ্টা করছি।

সভাপতির বক্তব্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. কামরুজ্জামান বলেন, ইতোপূর্বে জাতীয় ইনভেন্টরি বাধ্যতামূলক ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে আমরা যদি এটি না করতে পারি তাহলে আমরা ইউনস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি পাবো না। এ কারণে জাতীয় ইনভেন্টরি করা একেবারেই বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে৷ আমরা বর্তমানে ন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট নিয়ে কাজ করছি। এই কাজটি করতে হলে আমাদের অবশ্যই ইউনেস্কো এর প্রটোকল অনুযায়ী করতে হবে।

আর তার জন্য প্রয়োজন হবে একটি মানসম্মত সফটওয়্যারের। তা না হলে কিন্তু আমি আমার কন্টেন্ট আপলোড দিলেও তা স্বীকৃতি পাবে না। এ জন্য দুইটি কাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ— কমিউনিটিকে এর সাথে যুক্ত করা এবং তাদেরকে প্রশিক্ষন দেওয়া। কারণ এই সফটওয়্যারে কমিউনিটি পর্যায় থেকেই কন্টেন্ট আপলোড করা হবে। আর কন্টেন্ট আপলোড করার প্রক্রিয়া নিয়েই আজকের এই কর্মশালা।

তিনি আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি জাতীয় জাদুঘর থেকে একটি টিম বানানোর এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার। কাজগুলো ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে এবং তাদের মধ্যে থেকেই ট্রেইনার বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। আশা করি আমরা ভবিষ্যতে শিল্পকলার ট্রেইনারদের মাধ্যমে আরো উন্নত কর্মশালার আয়োজন করবো এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের কমিউনিটিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সংস্কৃতিক ঐতিহ্যেগুলো নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার ধারা বজায় রাখবো।