• সারাদেশ

    কক্সবাজার থেকে ঘূর্ণিঝড় হামুন ৪১০কি.মি. দূরে, থামছেই না বৃষ্টি

      প্রতিনিধি ২৪ অক্টোবর ২০২৩ , ৬:১৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আজিজ উদ্দিন।।

    বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৪ নং হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার ১০নং বুলেটিনে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার পশ্চিম – দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রাবন্দর থেকে ৩১০কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (২৫অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০কি.মি থেকে ১১০কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
    কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

    এদিকে ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

    টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারনে সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত সব পর্যটককে তিনটি জাহাজে করে সোমবার টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন–টেকনাফ নৌরুটে যেকোনো ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন।

    ঘূর্নিঝড়ের প্রভবে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে দুই ফুট। এদিকে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার জন্য স্ব স্ব উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষের নিরাপদে রাখতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার। পাশাপাশি শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, ঘূর্নিঝড় কক্সবাজার উপকূলে যদি আঘাত হানে তাহলে জান মালের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিক বিবেচনা করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন প্রত্যেকটা উপজেলা গুলোতে তদারকিতে রাখছে।

    ৫ শতাধিক সাইক্লোন শেল্টারে প্রস্তুতের পাশাপাশি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ