ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

কালীগঞ্জে ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সনদ পেলনা – আনোয়ার হোসেন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৯৬০০ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃশাহনেওয়াজ।গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাননি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মৃত মোক্তাজুল হোসেন খানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন খান।

তিনি নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে বলেন, আমার সহ যোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধের স্বীকৃতি ও সরকারী সুবিধা পেলেও আমি আজ তা থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মৃত মোক্তাজুল হোসেন খানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন খান ১৯৭১ সনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান স্বধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময় তিনি ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে সম্মূখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে জীবন বাজী রেখে এ দেশকে স্বাধীন করেন। দেশকে শক্রুমুক্ত করে স্বাধীন করার পর জীবন জীবিকার সন্ধ্যানে চাকুরী নিয়ে ১৯৭৮ সনে সৌদী আরবে চলে যান।

সেখানে দীর্ঘ ৪৩/৪৪ বছর প্রবাসী জীবন যাপন করেন। বিদেশ থাকাবস্থায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভূক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন সাড়া না পেয়ে অবশেষে বিগত ২০২২ইং সনে দেশে ফিরে আসেন।

এবং গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবরে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ১৯৭১ সনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে স্বধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করি। ১৯৭৮ সনে জীবন জীবিকার জন্য চাকুরী নিয়ে সৌদী আরবে চলে যাই। সেখানে ৪৩/৪৪ বছর থাকাবস্থায় আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ভূক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করি।

কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন সাড়া না পেয়ে অবশেষে গত বছর ২০২২ইং সনে দেশে ফিরে আসি। গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবরে আবেদন করেছি। আমার সাথে যারা যুদ্ধ করেছে তাহারা মাসিক ভাতা ও সরকারী সকল সুবিধা পাচ্ছে।

আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাভুক্ত হতে পারিনি। তাই তদন্ত পূর্বক আমাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার মুনসেফপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মিয়া, ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মানিক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল জানান, কালীগঞ্জ উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন খান ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধা ছিল।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় আমাদের সাথে তার দেখা হয়েছে। তিনি ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বশ্রস্ত্র যুদ্ধ করে ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কালীগঞ্জে ৫০ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সনদ পেলনা – আনোয়ার হোসেন

আপডেট সময় : ০২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

মোঃশাহনেওয়াজ।গাজীপুর প্রতিনিধিঃ

স্বাধীনতা সংগ্রামের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি পাননি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মৃত মোক্তাজুল হোসেন খানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন খান।

তিনি নিজেকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে বলেন, আমার সহ যোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধের স্বীকৃতি ও সরকারী সুবিধা পেলেও আমি আজ তা থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মৃত মোক্তাজুল হোসেন খানের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন খান ১৯৭১ সনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মহান স্বধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে ছিলেন। তিনি ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরাসরি মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেন।

মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময় তিনি ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে সম্মূখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে জীবন বাজী রেখে এ দেশকে স্বাধীন করেন। দেশকে শক্রুমুক্ত করে স্বাধীন করার পর জীবন জীবিকার সন্ধ্যানে চাকুরী নিয়ে ১৯৭৮ সনে সৌদী আরবে চলে যান।

সেখানে দীর্ঘ ৪৩/৪৪ বছর প্রবাসী জীবন যাপন করেন। বিদেশ থাকাবস্থায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা ভূক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন সাড়া না পেয়ে অবশেষে বিগত ২০২২ইং সনে দেশে ফিরে আসেন।

এবং গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবরে আবেদন করেন।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি ১৯৭১ সনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে স্বধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করি। ১৯৭৮ সনে জীবন জীবিকার জন্য চাকুরী নিয়ে সৌদী আরবে চলে যাই। সেখানে ৪৩/৪৪ বছর থাকাবস্থায় আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা ভূক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করি।

কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন সাড়া না পেয়ে অবশেষে গত বছর ২০২২ইং সনে দেশে ফিরে আসি। গত ১৮ মার্চ ২০২২ইং তারিখে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব বরাবরে আবেদন করেছি। আমার সাথে যারা যুদ্ধ করেছে তাহারা মাসিক ভাতা ও সরকারী সকল সুবিধা পাচ্ছে।

আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাভুক্ত হতে পারিনি। তাই তদন্ত পূর্বক আমাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকাভূক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার মুনসেফপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মিয়া, ব্রাক্ষণগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মানিক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল জানান, কালীগঞ্জ উপজেলাধীন বক্তারপুর ইউনিয়নের ফুলদী গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন খান ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধা ছিল।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি ভারতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় আমাদের সাথে তার দেখা হয়েছে। তিনি ৩নং সেক্টর কমান্ডার কে এম শফিউল্লাহর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বশ্রস্ত্র যুদ্ধ করে ছিলেন।