ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

কুমিল্লায় পুলিশ নিয়োগে এসপি পরিচয়ে প্রতারণা.গ্রেফতার ৩ | বাংলাদেশের বার্তা 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৯:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৬১৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আব্দুর রহমান সাঈফ, কুমিল্লা প্রতিনিধি।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহষ্পতিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান,বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি দিয়ে দেবে বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মোঃ আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মোঃ রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়- দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে।

এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন,আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ৬ লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো-পুরো টাকা হারলে আমাদের অবস্থা আরা খারাপ হয়ে যেত। পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়।

এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতারক আসামিদের সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুমিল্লায় পুলিশ নিয়োগে এসপি পরিচয়ে প্রতারণা.গ্রেফতার ৩ | বাংলাদেশের বার্তা 

আপডেট সময় : ০৯:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

আব্দুর রহমান সাঈফ, কুমিল্লা প্রতিনিধি।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে নতুন কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গতকাল ঢাকা ও মাদারীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ওই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহষ্পতিবার সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান জানান,বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় পুলিশে চাকরি দিয়ে দেবে বলে মরিয়ম বেগম নামে এক নারীর কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র।

প্রতারক মেরাজুল ইসলাম ফোনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, মোঃ আলীমুজ্জামান কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের পরিচয় দেয়। মোঃ রিপন ফকির তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। তাদের সবার বাড়ি মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানান, মরিয়ম বেগম তার নাতিন ফাহিমের জন্য পুলিশে চাকরির চেষ্টা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। ঘটনাটি পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায়- দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি, কুমিল্লায় জন প্রতি মাত্র ১০৬ টাকা খরচ করে ২০৬ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছে।

এই নিয়োগে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।মামলার বাদী মরিময় বেগম বলেন,আমরা বুঝতে পারিনি প্রতারণার শিকার হবো। কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেছি। চাকরির জন্য ৬ লাখ টাকা যোগাড় করতে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা হয়েছিলো-পুরো টাকা হারলে আমাদের অবস্থা আরা খারাপ হয়ে যেত। পুলিশ জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৯ তারিখ পর্যন্ত বিকাশ ও নগদে প্রতারকরা টাকা নিয়ে যায়।

এসব টাকা ঢাকা, মাদারীপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে তোলা হয়। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত হ্যালো পার্টির মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসারদের নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়াসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতারক আসামিদের সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হয়।