• দূর্ঘটনা

    কুমিল্লায় ২ ট্রেনের সংঘর্ষে ৫ বগি লাইনচ্যুত

      প্রতিনিধি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:০০:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুমিল্লা প্রতিনিধি।

    কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন এবং চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। রবিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামসহ ৩০জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুমিল্লার লাকসাম মুখী একটি পার্সেল ট্রেন আপলাইনের লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলো। এ সময় মেইন লাইন ক্লিলার না করায় সোনার বাংলা ট্রেন লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। এতে উভয় ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিন ও ৩টি যাত্রীবাহী বগি এবং একটি মালবাহী বগি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং লাইনচ্যুত হয়। পার্সেল ট্রেনের পেছনের গার্ডের বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়।দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনার বাংলা ট্রেন মেইন লাইনে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মেইন লাইনের সাথে আপ লাইন পরিবর্তন না করায় এ ঘটনা ঘটে। কারন সোনার বাংলা ট্রেনটি দ্রুত গতিতে আসছিলো।

    আহত সাঈদুর রহমান জানান, ইফতার করার পর হাত ধোয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয় এবং বগিগুলো একটার উপর আরেকটা উঠে যায়।
    রাত ৮টার দিকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে লাকসাম রেলওয় থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার জানান, গুরুতর আহত ৫জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

    যাত্রীবাহীট্রেনটিতে থাকা পুলিশ সদস্য তানভীর জানান, ‘ইফতার করার পর আমরা বসিছলাম হাত ধুইতে।এর মধ্যে একটা ধাক্কা লাগছে, আওয়াজ ইছে। বুঝা গেছে মনে হয় লাইনচ্যুত হইছে। ৩০ সেকেন্ডেরমধ্যে দুমড়েমুচড়ে উল্টে গেলো। আমরা ছিলাম সামনে, উইন্ডেড হয়ে গেছি।

    ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়। কয়েকজনকে শাহ আলী বাসে করে কুমিল্লার দিকে পাঠানো হয়।
    দুর্ঘটনার পর হাসানপুর স্টেশনের মাস্টার সোহাগ বড়ুয়া পালিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ