ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

ঝিকরগাছা পৌরসভা মেয়রকে হত্যার হুমকি | বাংলাদেশের বার্তা

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৬০৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,যশোর জেলা প্রতিনিধি।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরেএক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন মেয়র।

এ ঘটনায় তিনি ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জানান, গত ১৫ মার্চ পৌনে ১২টার দিকে তিনি পৌর কার্যালয়ে ছিলেন।

এই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুছা মাহমুদ হঠাৎ তার অফিস কক্ষে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। অফিস কক্ষের সামনে অস্ত্রধারী ৭/৮জন ক্যাডার দাঁড়িয়ে ছিল।

তিনি আরো জানান, সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতিক পেলেও মুছা মাহমুদ গং নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্য নির্বাচন করে। এছাড়া গত ১৫ মার্চ আওয়ামীলীগ অফিস করার অজুহাতে একটি বিবাদমান সম্পত্তি তালা ভেঙ্গে দখল করে।

এর প্রতিবাদ করায় মুছা মাহমুদ ও তার ক্যাডাররা অফিসে ঢুকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে পৌর পরিষদের জরুরী সভা করে সরকারী কাজে বাধাদান ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়ায় পৌর পরিষদের প্যাডে ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এজাহারটি গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ড করেছে না।

তিনি বলেন, মুছা মাহমুদ আওয়ামীলীগ নেতার লেবাসে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তিনি আওয়ামী লীগকেই নির্যাতন করে চলছে। তিনি এ ঘটনার আইনগত ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ বলেন, ওই সম্পত্তি জাবেদ নামে এক ব্যক্তির। দলীয় কার্যালয় করার জন্য ওই জমিটি তার কাছ থেকে কেনা হয় এবং ২০১৩ সাল থেকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দীর্ঘদিন অফিসটি বন্ধ ছিল।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের লক্ষ্যে ওই ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছিলো।

সেটা নিয়েই পৌর মেয়র জল ঘোলা করার চেষ্টা করেন। আমি তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র। তাকে গালিগালাজ বা হুমকি-ধমকি দেয়নি। উল্টো তিনি আমাকে পিস্তল দেখিয়ে শাসিয়েছেন। আর এখন মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঝিকরগাছা পৌরসভা মেয়রকে হত্যার হুমকি | বাংলাদেশের বার্তা

আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

মোঃসাদ্দাম হোসেন ইকবাল,যশোর জেলা প্রতিনিধি।

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পৌর মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরেএক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন মেয়র।

এ ঘটনায় তিনি ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ দিলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জানান, গত ১৫ মার্চ পৌনে ১২টার দিকে তিনি পৌর কার্যালয়ে ছিলেন।

এই সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুছা মাহমুদ হঠাৎ তার অফিস কক্ষে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। অফিস কক্ষের সামনে অস্ত্রধারী ৭/৮জন ক্যাডার দাঁড়িয়ে ছিল।

তিনি আরো জানান, সর্বশেষ পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতিক পেলেও মুছা মাহমুদ গং নৌকার বিপক্ষে প্রকাশ্য নির্বাচন করে। এছাড়া গত ১৫ মার্চ আওয়ামীলীগ অফিস করার অজুহাতে একটি বিবাদমান সম্পত্তি তালা ভেঙ্গে দখল করে।

এর প্রতিবাদ করায় মুছা মাহমুদ ও তার ক্যাডাররা অফিসে ঢুকে হত্যার হুমকি দেয়। এ বিষয়ে পৌর পরিষদের জরুরী সভা করে সরকারী কাজে বাধাদান ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়ায় পৌর পরিষদের প্যাডে ঝিকরগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ এজাহারটি গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ড করেছে না।

তিনি বলেন, মুছা মাহমুদ আওয়ামীলীগ নেতার লেবাসে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তিনি আওয়ামী লীগকেই নির্যাতন করে চলছে। তিনি এ ঘটনার আইনগত ও দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যাশা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসা মাহমুদ বলেন, ওই সম্পত্তি জাবেদ নামে এক ব্যক্তির। দলীয় কার্যালয় করার জন্য ওই জমিটি তার কাছ থেকে কেনা হয় এবং ২০১৩ সাল থেকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। দীর্ঘদিন অফিসটি বন্ধ ছিল।বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের লক্ষ্যে ওই ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছিলো।

সেটা নিয়েই পৌর মেয়র জল ঘোলা করার চেষ্টা করেন। আমি তার প্রতিবাদ করেছি মাত্র। তাকে গালিগালাজ বা হুমকি-ধমকি দেয়নি। উল্টো তিনি আমাকে পিস্তল দেখিয়ে শাসিয়েছেন। আর এখন মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছেন।