নীলফামারীতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মুখোমুখি সমাবেশ বিএনপির মঞ্চ ভেঙ্গে ছাত্রলীগের উল্লাস |

- আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৯৬৩৮ বার পড়া হয়েছে
নবিজুল ইসলাম নবীন,নীলফামারী প্রতিনিধি,
নীলফামারীতে বিএনপির বিদ্যুৎ, জালানী, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি ও নেতা কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীতে পথযাত্রা কর্মসূচির ব্যানার ছিঁড়ে, মঞ্চ ভেঙ্গে উল্লাস করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা পৌর সুপার মার্কেটের সামনে বিএনপি জামাত জোটের ণৈরাজ্য আগুন সন্ত্রাস, গুজব ও অপ্রচারের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই স্থানের বিপরীত পাশে পথযাত্রার মঞ্চ তৈরী করে বিএনপি।
দুইদলের একই স্থানে কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে পৌর সুপার মার্কেট এলাকার অবস্থা ছিল থমথমে। এরপর বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে সমাবেশ স্থলে। দুপুর ১২ টার দিকে বিএনপির নেতা কর্মীরা স্লোগান দিলে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এগিয়ে আসে। পরে তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে মঞ্চ দখল করে স্লোগান দিতে থাকে। এদিকে দুই দলের এমন পাল্টা পাল্টি কর্মসূচি ঘিরে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল পুলিশ।
জেলা বিএনপির সভাপতি আ ক ম আলমগীর সরকার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি করছিলাম। হটাৎ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মঞ্চ দখল করে আনন্দ উল্লাস করে। এছাড়াও আমাদের কর্মসূচির ব্যানার ছিঁড়ে অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করে। এসময় পুলিশ নিরবে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা শুধু বিএনপিতে বাঁধা দিতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগকে পারে না। এ ঘটনার আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল শাহ আপেল বলেন, আমরা ছাত্রলীগ শান্তি চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী। কিন্তু কর্মসূচির নামে তারা দেশ বিরোধী স্লোগান ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছিল। আমরা তাদের হামলা করিনি, তাদের সড়িয়ে দিয়েছি। যাতে বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বলেন, তারা আমাদের কর্মসূচির সময় এসে দেশ বিরোধী স্লোগান ও দেশ রত্ম শেখ হাসিনাকে গালিগালাচ করলে বাঁধা দেই মাত্র। আর কিছুই না এখানে। তাদের কোন কিছু ভাংচুর হয়নি সব আছে সেখানে। আমাদের কর্মসূচি শেষ চাইলে তারা তাদের অনুষ্ঠান করতে পারে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিএনপি জামাত জোটের ণৈরাজ্য আগুন সন্ত্রাস, গুজব ও অপ্রচারের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক। এতে আওয়ালীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন দুুপুর ১২ টার দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মঞ্চের উল্টো দিকে বিদ্যুৎ, জালানী, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি ও নেতা কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীতে পথযাত্রা কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে বিএনপির সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা প্রধান হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।