ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯৬২৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

       সিঁড়ি ও হাড়কালাচাঁদ মৃত্যু

  • অস্ফুট আর্তনাদ হয়ে বের হয়ে আসে
    এক অলিখিত জীবনবোধ;
    কোথায়, কোন বদ্ধ-জলাশয়ে আটকে-পড়া
    জোয়ারের কচুরিপানার মত
    আমার সময়, আমার বেঁচে থাকার রসদ
    থেমে আছে পচনের অপেক্ষায়?
    বার বার বাড়িয়েও হাত পারি না ছুঁতে তাকে…
  • ভাবনায় এসে কষ্ট বাড়ায় আমার অতীত সুখ
    অতীতের কষ্টও বাড়ায় এসে কষ্ট প্রচণ্ড
    পরাজয়ে ক্লিষ্ট বর্তমানও বাড়ায় কষ্ট প্রতিনিয়ত
    ভবিষ্যত সে-তো অজ্ঞেয় এক কল্পনার দীর্ঘছায়া…
  • এ কোথায় আমি!
    কোথায় আমার অস্তিত্বের দাগ!
    কোন প্রত্যাশার অনুলিপি হয়ে এখনো আমি জীবন্ত!
    আমার হাড়ে গড়া এত এত সিঁড়ি আর ভাঙতে হবে কতকাল…।

 

  • মায়ের আঁচল
  • মোহাম্মদ ইল্ইয়াছ
  • আকাশ যদি মুক্ত থাকে
    বাতাস যদি বয়-
    পাহাড়-টিলা কিরণ মেখে
    আপন কথা কয়।
  • ঝঞ্ঝা যদি না আসে
    পাখির-কাটে ভয়
    বটের শাখা ভাঙে নাকো
    হয়না পাতা লয়।
  • সাগর যদি শান্ত থাকে
    হয়না নদীর ক্ষয়
    বান-বন্যা লুকিয়ে থাকে
    জানবে সুনিশ্চিত।
  • দেশে যদি হয় মাতৃভূমি-
    মায়ের হবে জয়
    স্নেহের আঁচল মায়ের বাণী
    সত্য কেন নয় ?।

 

  • নবান্নের ঘ্রাণ
  • জাহাঙ্গীর চৌধুরী
  • হৈমন্তিক প্রাণ নবান্নের ঘ্রাণ
    এলো কার্তিক দেশে।
    নবান্নের গান গাইব সবাই
    খোশে মিলেমিশে।
    বেলা শেষে শিশির এসে
    ঘাসের শীষে ভাসে।
    সকাল বেলায় রাঙা প্রভায়
    চিকচিকিয়ে হাসে।
    মায়েরা সব প্রাতঃকালে
    বানায় নানান পিঠা।
    খেজুরের রস সঙ্গে থাকলে
    খেতে দারুণ মিঠা।
    রাস্তার ধারে উড়ে নিত্য
    হরেক পিঠার ধোঁয়া।
    আসতে যেতে ভোজনরসিক
    লাগায় হাতের ছোঁয়া।
    নবান্নের এ উৎসব বাংলায়
    অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
    সবার ঘরে বয়ে বেড়ায়
    নবান্নের এই সুবাস।

 

  • হেলেনা
  • বাবুল মিয়া
  • মুচকি হাসে পাশে বসে
    ভাব’টা বটেই ভালো না,
    যতই চলি গা এড়িয়ে
    পিছু তো আর ছাড়ে না।
  • আমার দিকে চেয়ে থাকে
    চোখের পাতা ফেলেনা,
    কি জানি সে বলিতে চায়
    পাশের বাড়ির হেলেনা!।

 

  • ও চাঁদ তুমি…
  • ফায়েজা খানম
  • ও চাঁদ তুমি বলে দিও তারে…
    আমি আজও ভালবাসি তারে।
    ও চাঁদ তুমি দেখো তারে…
    সে যেন বিরহে আমার হাত না ছাড়ে।
    গগন ধূলিতে যেমন তোমার ছায়া পড়ে,
    তেমনি করে আগলিয়ে রেখো জ্যোস্নারও সরে।
    ও চাঁদ তুমি শুনে নিও মনকথা সব,
    আমাকে বলে দিও যখন থাকবেনা কলরব।
    অনুভবে, ভাবাবেগে, হৃৎপিণ্ডের ঢুকঢুকে..
    খুঁজে নিবো তার অভিপ্রেত, অপ্রকাশিত প্রেম টুকটুকে।
    ও চাঁদ তুমি কি দেখো তারে!
    সে কি আমিহীন আজও দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে!
    ও চাঁদ তুমি জানিও তারে…
    আমরা যেন বহুদূর তোমার পানে একই শহরে।
    দূর তবু কত কাছে অভিমানে, অভিযোগে,
    কাছে তবু এত দূরে অনুনয়ে, অভিপ্রায়ে।

 

  • মা যে আমার
  • রাজু আহম্মেদ
  • মা যে আমার মাথার উপর
    চন্দ্র তাঁরার আকাশ,
    মা যে আমার ক্লান্ত দেহের
    শীতল করা বাতাস।
  • মা যে আমার সূর্য্যের আলো
    দিগন্তের প্রদীপ,
    মা যে আমার সুখ সাগরের
    মহত্ত্বময় দ্বীপ।
  • মা যে আমার রৌদ্র খরায়
    ছায়াবৃক্ষের নীড়,
    মা যে আমার তুফান মাঝে
    খুঁজে পাওয়া তীর।
  • মা যে আমার দুই নয়নের
    আলোকিত জ্যোতি,
    মা যে আমার দুঃসাহসিক
    দূরদূরান্তর গতি।
  • মা যে আমার নিদ্রা আহার
    মা যে আমার ধ্যান,
    মা যে আমার বেড়ে উঠার
    সকল বুদ্ধিজ্ঞান।
  • মা যে আমার মহা ঔষধ
    আপদবালাই রোগে,
    সকল শান্তি এই পৃথিবীর
    আমার মায়ের বুকে।

 

  • শীতের হেমন্ত
  • চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
  • মিষ্টি শীতের নবান্নতে হেমন্ত তাই এলো,
    সবুজ মাঠে আনন্দতে সুখটা এলোমেলো।
    তুলোর মত সাদা সাদা মেঘগুলো সব ভাসে,
    গাছে গাছে পাগলা হাওয়ায় শিউলি টগর হাসে।
    ভােরের বেলায় ঘাসে ঘাসে শিশির কণা ঝরে,
    ধুম পড়ে যায় পিঠা পুলির এই বাঙালির ঘরে।
    খেজুর গাছে মাটির কলস রস পড়ে টুপ টুপ,
    হেমন্তের এই শীত অামেজে সবাই থাকে চুপ।
    মাঠে মাঠে সোনালী ধান চাষীর মুখে হাসি,
    হেমন্তকাল আলোর ঝলক মুক্ত তারার রাশি।

 

  • রূপের রানি বাংলাদেশ
  • আজাদ হোসেন
  • আমার দেশে আছে নদী
    মাঝির মুখে মিষ্টি গান,
    ভাটিয়ালি জারি সারি
    শুনে সবার ভরে প্রাণ।
  • আমার দেশে সবুজ বনে
    আছে পাখির কোলাহল,
    ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়
    একই সাথে বেঁধে দল।
  • আমার দেশে বিলের জলে
    শাপলা শালুক ফোটে রোজ,
    ছেলে মেয়ে শালুক তুলে
    করে সবাই মজার ভোজ।
  • ভোর বিহানে কোকিলের গান
    মনটা জুড়ায় লাগে বেশ।
    অপরূপ এই রূপের রানি
    আমার সোনার বাংলাদেশ।

 

  • পরকীয়া
  • এস এম জসিম ভূঁইয়া
  • একই ছাদের নিচে মানেই সুখে থাকা নয়
    এক বিছানায় শুয়েও কেউ দূরের মানুষ হয়।
    হাতটা হাতে রাখা মানেই আপন হওয়া নয়
    কিছু কিছু ভালোবাসা কেবল অভিনয়।
  • একজনমের সঙ্গী তবু অচিন কতজনে!
    বুকের মাঝে একজনা তো, অন্যজনা মনে!
    ঘর আছে, সন্তান আছে, সুখের মেলা রোজ
    চুপিসারে চলে তবু নয়া মাংসের খোঁজ।
  • সমাজ জুড়ে পরকীয়ার উথাল পাথাল ঢেউ
    এক বুকেতে মাথা রাখা, ভাবনায় অন্য কেউ।
    নারী বলো, পুরুষ বলো- পাল্লা সমান সমান
    সমাজটাতে চোখ বুলালে মিলবে শত প্রমাণ!

 

  • অণুগল্প দেয়াল
  • নূরুন্নাহার বেগম
  • ” মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে । ”
    অনেক দিন পর গানটা শুনে নষ্টালজিক হয়ে গেল মিতা। মা নেই – বুকের ভিতর চৈত্রের দাহ। চোখে বেদনার ছলছল নদী। মিতা যখন নিজের বাড়িতে থাকে তখন মনে হয় মা ঠিকই আছেন তার বাড়িতে। মিতা তার সব ধরনের কষ্ট মায়ের সাথে শেয়ার করে হালকা হয়। বহুদিন হয়ে গেলে একটা যাতনা, না বলা কষ্ট ওকে ভীষণ পীড়া দেয়। ওর অসুস্থতাকেও বাড়িয়ে তোলে। রফিক বুঝতে পেয়ে মিতার পিঠে হাতটা রেখে অনুনয়ের সুরে বলে অনেক রাত হয়েছে চল শোবে এখন। রফিকের মন কামনার তৃষ্ণার চেয়ে ভালো লাগার তৃপ্তি কাজ করছে। মিতা দেখেছে কবিরের মাঝে দৃঢ়তার ছোঁয়া। মিতার একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা দূরে রেখে মিতাকে সুখী দেখবে রফিক। মনে মনে এমনটাই চেয়েছিল মিতা।
    নীরব একাকীত্বে একটা ভাবনার দেয়াল ক্রমশ এগিয়ে রফিক পানে। ওকে মাঝেমধ্যে মধুর ভালোবাসায় ব্যাকুল করে। এখন রফিকের জীবনে রুবি ওর সহকর্মী – একটা আলাদা পৃথিবী

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম 

নিউজটি শেয়ার করুন

One thought on “বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের বার্তার “সাহিত্য কন্ঠ”

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

       সিঁড়ি ও হাড়কালাচাঁদ মৃত্যু

  • অস্ফুট আর্তনাদ হয়ে বের হয়ে আসে
    এক অলিখিত জীবনবোধ;
    কোথায়, কোন বদ্ধ-জলাশয়ে আটকে-পড়া
    জোয়ারের কচুরিপানার মত
    আমার সময়, আমার বেঁচে থাকার রসদ
    থেমে আছে পচনের অপেক্ষায়?
    বার বার বাড়িয়েও হাত পারি না ছুঁতে তাকে…
  • ভাবনায় এসে কষ্ট বাড়ায় আমার অতীত সুখ
    অতীতের কষ্টও বাড়ায় এসে কষ্ট প্রচণ্ড
    পরাজয়ে ক্লিষ্ট বর্তমানও বাড়ায় কষ্ট প্রতিনিয়ত
    ভবিষ্যত সে-তো অজ্ঞেয় এক কল্পনার দীর্ঘছায়া…
  • এ কোথায় আমি!
    কোথায় আমার অস্তিত্বের দাগ!
    কোন প্রত্যাশার অনুলিপি হয়ে এখনো আমি জীবন্ত!
    আমার হাড়ে গড়া এত এত সিঁড়ি আর ভাঙতে হবে কতকাল…।

 

  • মায়ের আঁচল
  • মোহাম্মদ ইল্ইয়াছ
  • আকাশ যদি মুক্ত থাকে
    বাতাস যদি বয়-
    পাহাড়-টিলা কিরণ মেখে
    আপন কথা কয়।
  • ঝঞ্ঝা যদি না আসে
    পাখির-কাটে ভয়
    বটের শাখা ভাঙে নাকো
    হয়না পাতা লয়।
  • সাগর যদি শান্ত থাকে
    হয়না নদীর ক্ষয়
    বান-বন্যা লুকিয়ে থাকে
    জানবে সুনিশ্চিত।
  • দেশে যদি হয় মাতৃভূমি-
    মায়ের হবে জয়
    স্নেহের আঁচল মায়ের বাণী
    সত্য কেন নয় ?।

 

  • নবান্নের ঘ্রাণ
  • জাহাঙ্গীর চৌধুরী
  • হৈমন্তিক প্রাণ নবান্নের ঘ্রাণ
    এলো কার্তিক দেশে।
    নবান্নের গান গাইব সবাই
    খোশে মিলেমিশে।
    বেলা শেষে শিশির এসে
    ঘাসের শীষে ভাসে।
    সকাল বেলায় রাঙা প্রভায়
    চিকচিকিয়ে হাসে।
    মায়েরা সব প্রাতঃকালে
    বানায় নানান পিঠা।
    খেজুরের রস সঙ্গে থাকলে
    খেতে দারুণ মিঠা।
    রাস্তার ধারে উড়ে নিত্য
    হরেক পিঠার ধোঁয়া।
    আসতে যেতে ভোজনরসিক
    লাগায় হাতের ছোঁয়া।
    নবান্নের এ উৎসব বাংলায়
    অন্যরকম উচ্ছ্বাস।
    সবার ঘরে বয়ে বেড়ায়
    নবান্নের এই সুবাস।

 

  • হেলেনা
  • বাবুল মিয়া
  • মুচকি হাসে পাশে বসে
    ভাব’টা বটেই ভালো না,
    যতই চলি গা এড়িয়ে
    পিছু তো আর ছাড়ে না।
  • আমার দিকে চেয়ে থাকে
    চোখের পাতা ফেলেনা,
    কি জানি সে বলিতে চায়
    পাশের বাড়ির হেলেনা!।

 

  • ও চাঁদ তুমি…
  • ফায়েজা খানম
  • ও চাঁদ তুমি বলে দিও তারে…
    আমি আজও ভালবাসি তারে।
    ও চাঁদ তুমি দেখো তারে…
    সে যেন বিরহে আমার হাত না ছাড়ে।
    গগন ধূলিতে যেমন তোমার ছায়া পড়ে,
    তেমনি করে আগলিয়ে রেখো জ্যোস্নারও সরে।
    ও চাঁদ তুমি শুনে নিও মনকথা সব,
    আমাকে বলে দিও যখন থাকবেনা কলরব।
    অনুভবে, ভাবাবেগে, হৃৎপিণ্ডের ঢুকঢুকে..
    খুঁজে নিবো তার অভিপ্রেত, অপ্রকাশিত প্রেম টুকটুকে।
    ও চাঁদ তুমি কি দেখো তারে!
    সে কি আমিহীন আজও দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে!
    ও চাঁদ তুমি জানিও তারে…
    আমরা যেন বহুদূর তোমার পানে একই শহরে।
    দূর তবু কত কাছে অভিমানে, অভিযোগে,
    কাছে তবু এত দূরে অনুনয়ে, অভিপ্রায়ে।

 

  • মা যে আমার
  • রাজু আহম্মেদ
  • মা যে আমার মাথার উপর
    চন্দ্র তাঁরার আকাশ,
    মা যে আমার ক্লান্ত দেহের
    শীতল করা বাতাস।
  • মা যে আমার সূর্য্যের আলো
    দিগন্তের প্রদীপ,
    মা যে আমার সুখ সাগরের
    মহত্ত্বময় দ্বীপ।
  • মা যে আমার রৌদ্র খরায়
    ছায়াবৃক্ষের নীড়,
    মা যে আমার তুফান মাঝে
    খুঁজে পাওয়া তীর।
  • মা যে আমার দুই নয়নের
    আলোকিত জ্যোতি,
    মা যে আমার দুঃসাহসিক
    দূরদূরান্তর গতি।
  • মা যে আমার নিদ্রা আহার
    মা যে আমার ধ্যান,
    মা যে আমার বেড়ে উঠার
    সকল বুদ্ধিজ্ঞান।
  • মা যে আমার মহা ঔষধ
    আপদবালাই রোগে,
    সকল শান্তি এই পৃথিবীর
    আমার মায়ের বুকে।

 

  • শীতের হেমন্ত
  • চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু
  • মিষ্টি শীতের নবান্নতে হেমন্ত তাই এলো,
    সবুজ মাঠে আনন্দতে সুখটা এলোমেলো।
    তুলোর মত সাদা সাদা মেঘগুলো সব ভাসে,
    গাছে গাছে পাগলা হাওয়ায় শিউলি টগর হাসে।
    ভােরের বেলায় ঘাসে ঘাসে শিশির কণা ঝরে,
    ধুম পড়ে যায় পিঠা পুলির এই বাঙালির ঘরে।
    খেজুর গাছে মাটির কলস রস পড়ে টুপ টুপ,
    হেমন্তের এই শীত অামেজে সবাই থাকে চুপ।
    মাঠে মাঠে সোনালী ধান চাষীর মুখে হাসি,
    হেমন্তকাল আলোর ঝলক মুক্ত তারার রাশি।

 

  • রূপের রানি বাংলাদেশ
  • আজাদ হোসেন
  • আমার দেশে আছে নদী
    মাঝির মুখে মিষ্টি গান,
    ভাটিয়ালি জারি সারি
    শুনে সবার ভরে প্রাণ।
  • আমার দেশে সবুজ বনে
    আছে পাখির কোলাহল,
    ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়
    একই সাথে বেঁধে দল।
  • আমার দেশে বিলের জলে
    শাপলা শালুক ফোটে রোজ,
    ছেলে মেয়ে শালুক তুলে
    করে সবাই মজার ভোজ।
  • ভোর বিহানে কোকিলের গান
    মনটা জুড়ায় লাগে বেশ।
    অপরূপ এই রূপের রানি
    আমার সোনার বাংলাদেশ।

 

  • পরকীয়া
  • এস এম জসিম ভূঁইয়া
  • একই ছাদের নিচে মানেই সুখে থাকা নয়
    এক বিছানায় শুয়েও কেউ দূরের মানুষ হয়।
    হাতটা হাতে রাখা মানেই আপন হওয়া নয়
    কিছু কিছু ভালোবাসা কেবল অভিনয়।
  • একজনমের সঙ্গী তবু অচিন কতজনে!
    বুকের মাঝে একজনা তো, অন্যজনা মনে!
    ঘর আছে, সন্তান আছে, সুখের মেলা রোজ
    চুপিসারে চলে তবু নয়া মাংসের খোঁজ।
  • সমাজ জুড়ে পরকীয়ার উথাল পাথাল ঢেউ
    এক বুকেতে মাথা রাখা, ভাবনায় অন্য কেউ।
    নারী বলো, পুরুষ বলো- পাল্লা সমান সমান
    সমাজটাতে চোখ বুলালে মিলবে শত প্রমাণ!

 

  • অণুগল্প দেয়াল
  • নূরুন্নাহার বেগম
  • ” মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার, মাকে মনে পড়ে । ”
    অনেক দিন পর গানটা শুনে নষ্টালজিক হয়ে গেল মিতা। মা নেই – বুকের ভিতর চৈত্রের দাহ। চোখে বেদনার ছলছল নদী। মিতা যখন নিজের বাড়িতে থাকে তখন মনে হয় মা ঠিকই আছেন তার বাড়িতে। মিতা তার সব ধরনের কষ্ট মায়ের সাথে শেয়ার করে হালকা হয়। বহুদিন হয়ে গেলে একটা যাতনা, না বলা কষ্ট ওকে ভীষণ পীড়া দেয়। ওর অসুস্থতাকেও বাড়িয়ে তোলে। রফিক বুঝতে পেয়ে মিতার পিঠে হাতটা রেখে অনুনয়ের সুরে বলে অনেক রাত হয়েছে চল শোবে এখন। রফিকের মন কামনার তৃষ্ণার চেয়ে ভালো লাগার তৃপ্তি কাজ করছে। মিতা দেখেছে কবিরের মাঝে দৃঢ়তার ছোঁয়া। মিতার একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা দূরে রেখে মিতাকে সুখী দেখবে রফিক। মনে মনে এমনটাই চেয়েছিল মিতা।
    নীরব একাকীত্বে একটা ভাবনার দেয়াল ক্রমশ এগিয়ে রফিক পানে। ওকে মাঝেমধ্যে মধুর ভালোবাসায় ব্যাকুল করে। এখন রফিকের জীবনে রুবি ওর সহকর্মী – একটা আলাদা পৃথিবী

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম