• সারাদেশ

    সীমান্তে আবারো মর্টার শেলের গোলা/ কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজারসহ ১২ গ্রাম

      প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২২ , ৪:৪৮:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    আজিজ উদ্দিন।।

    বান্দরবান জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমার বাংলাদেশ জিরো পয়েন্টে ক’দিন বন্ধের পর সীমান্তে পরপর ৪টি মর্টার শেলের গোলায় কেঁপে উঠলো তুমব্রু বাজার ও আশপাশের ১২ গ্রাম।

    বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, মিয়ানমার রাখাইন প্রদেশের সেনা ও বিদ্রোহী গ্রুপ এর মাঝে চলমান দীর্ঘদিন যাবত সংঘর্ষের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত পিলার ৪১, ৪০, ৩৯, ৩৮, ৩৭ , ৩৬ , ৩৫ , ৩৪ , ৩১ এলাকায় সেনা বিজিপি ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মাঝে প্রচন্ড সংঘর্ষ চলমান রয়েছে এবং সেনা বিজিপি প্রচুর পরিমাণ ভারী অস্ত্র মটর শেল ও সামরীক হেলিকপ্টার/ফাইটার বিমান হতে বৃষ্টির মত গোলা বর্ষণ করেছিল।

    গত কয়েক দিন যাবত সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিপরীতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

    ব্যবসায়ী রহিম উল্লাহ গ্রাম পুলিশ আবদু শুক্কুর জানান, প্রায় ৩ দিন পর সোমবার (৩ অক্টোবর ২০২২) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় হঠাৎ সীমান্ত পিলার ৩৪ সংলগ্ন মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট বিজিপি ক্যাম্প হতে পর পর ৪টি ভারী অস্ত্রের মটর শেল ফায়ার করলে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন এর তুমব্রু ও বাইশ পারী এলাকা ১২ টি গ্রাম ভূমিকম্পের ন্যায় কেঁপে উঠে।

    যার ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশের লোকজনের মাঝে পুণরায় নতুন করে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এই ছাড়া প্রতিদিন মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্র অস্ত্র ফায়ার অব্যাহত রেখেছে।

    এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, হঠাৎ মর্টারশেলের আওয়াজে তার পরিষদ যেন ভেঙ্গে পড়ার মত অবস্থা হয়েছিলো বলে তার পহরী তাকে বলেছে। এছাড়া এলাকার লোকজনের মাঝে এ আওয়াজে চরম আতংক দেখা দেয়।

    বেশ করে তুমব্রু বাজার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরে আসা পূজারীরা চরম আতংকে মহাঅষ্টমী পালন করছে। ঘটনার কথা দূর্গা মন্দিরের সভাপতি রূপনা ধর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, আজ নবমীষ্ঠমী পালন করতে কিভাবে আসবে তা নিয়ে চিন্তিত আছি।৩৪ বিজিবির একটি সূত্র জানান, তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থান।

    তাদের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহল জেরদার করা হয়। যেন কোন নতুন রোহিঙ্গা পার হতে না পারে। সীমান্ত যেন রক্ষিত থাকে সেদিকে নজর রেখেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ