ঈদগাঁওতে পূঁজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল আচার্য্য’র বিরুদ্ধে ঝাঁটা মিছিল

- আপডেট সময় : ০৯:০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ৯৬৫৭ বার পড়া হয়েছে
রিয়াজ উদ্দীন রিয়াদ, ঈদগাঁও কক্সবাজার।
ঈদগাঁওতে উপজেলা পূঁজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি মৃণাল আচার্য্য’র বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ও ঝাঁটা মিছিল করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
গতকাল (সোমবার) দুপুরে ঈদগাঁও বাঁশ ঘাটায় মানব বন্ধন পরবর্তী এ মিছিলে ব্যানার ফেস্টুন এবং ঝাঁটা-সেন্ডেল উঁচিয়ে অংশগ্রহণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শত শত নারী পূরুষ ও শিশুরা। এসময় তিনি দখলকৃত দোকানে বসা থাকলেও ঝাঁটা মিছিল দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
ঝাঁটা-জুতা নিয়ে মিছিলের ছবি ও ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মিছিলকারীরা ঝাঁটা-সেন্ডেল উঁচিয়ে ভূমিদস্যু মৃণালের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন ও ঈদগাঁও বাজারের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে এসে শাপলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হন।
সমাবেশে ভোক্তভোগী নিকেল দে, মৃদুল দে ও অারো অনেকে বক্তব্যে বলেন, পূঁজা উদযাপন পরিষদ সভাপতির পদ-পদবী ব্যবহার করে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন মৃণাল মহাজন।
তার চড়াসুদে মহাজনী ব্যবসা, সাধারণ হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও পরের জমি দখলসহ বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না কেউ। মৃণাল সর্বশেষ ঈদগাঁও বাজারের স্বর্নপট্টিতে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক প্রতিবন্ধীর জমি দখল করলে এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন সাধারণ হিন্দু সমাজ।
ঝাঁটা মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভূক্তভোগী মহিলা কুমকুম দত্ত। তিনি বলেন, একসময়ের হত-দরিদ্র মৃণাল আচার্য্য আজ কোটিপতি। চুরি-ডাকাতির স্বর্ন নামমাত্র দামে ক্রয়, স্বর্ণে ভেজাল মিশানো ও ভূমিদস্যুতা করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা বাজারের স্বর্ণপট্টিতে পাবলিক টয়লেট ও খাসজমি দখল করে বহুতল ভবন গড়ে তুললেও উৎকোচের বিনিময়ে সবকিছু ধামাচাপা দিয়েছেন মৃণাল মহাজন।
ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় কালী বাড়ি পরিচালনা কমিটির সভাপতি উত্তম রায় পুলক বলেন, মৃণাল আচার্য্যের হাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বারবার নির্যাতিত হয়ে আসছে। তার বিভিন্ন অপকর্মের ব্যাপারে ইতোপূর্বে অনেকবার বিচার সালিশ হলেও কিছুই মানেননি মৃণাল আচার্য্য ।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝাঁটা মিছিল আসার খবর পেয়ে দোকান থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান ভূমিদস্যু ও বহু অপকর্মের হোতা মৃণাল মহাজন।
উপরোক্ত সব বিষয়ে জানতে চাইলে এসব “দালালদের চক্রান্ত” বলে অভিহিত করে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মৃণাল মহাজন।