ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর কুমিল্লা জেলা রোভারের কোর্স ফর রোভার মেট কোর্সের সনদ প্রদান বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া অফিস কুমিল্লা জেলা রোভারের মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রথম আলো কুমিল্লা বন্ধুসভার ব্যবস্থাপনায় এম সাদেক স্মৃতি পাঠাগার উদ্বোধন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি কুমিল্লা জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপ কমডেকায় অংশগ্রহনকারীদের সনদ প্রদান

কক্সবাজারে প্রায় একযুগ পর বাঁকখালী নদী দখল মুক্ত | বাংলাদেশের বার্তা 

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ৯৬২৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

কক্সবাজার পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৩শত একর জমি দুইদিনে অবৈধ দখল মুক্ত করেছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রায় একযুগ আগে সরকার ঘোষিত নদী বন্দর বাস্তবায়নে জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও চলমান ছিল। এ পর্যন্ত নদীর তীরের ৩ শত একর জমির অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪ শতাধিক স্থাপনা।

তিনি জানান, নদীর তীরের প্যারাবন ধ্বংস করে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের আদেশ রয়েছে। যে নিদের্শ মতে, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর সকল দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জমি বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে বাঁকখালী নদী বন্দরের সংরক্ষক নিযুক্ত করে।

প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুণঃ যৌথ জরিপ করা হয়। জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

নানা কারণে তা বিলম্ব হলেও ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বাঁকখালী নদী বন্দর নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে প্রায় একযুগ পর বাঁকখালী নদী দখল মুক্ত | বাংলাদেশের বার্তা 

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

আজিজ উদ্দিন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি।

কক্সবাজার পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৩শত একর জমি দুইদিনে অবৈধ দখল মুক্ত করেছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

প্রায় একযুগ আগে সরকার ঘোষিত নদী বন্দর বাস্তবায়নে জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও চলমান ছিল। এ পর্যন্ত নদীর তীরের ৩ শত একর জমির অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪ শতাধিক স্থাপনা।

তিনি জানান, নদীর তীরের প্যারাবন ধ্বংস করে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের আদেশ রয়েছে। যে নিদের্শ মতে, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর সকল দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জমি বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে বাঁকখালী নদী বন্দরের সংরক্ষক নিযুক্ত করে।

প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুণঃ যৌথ জরিপ করা হয়। জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

নানা কারণে তা বিলম্ব হলেও ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বাঁকখালী নদী বন্দর নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।