ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ ::
কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  ১ লাখ ৮২২ জন শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ পারুয়ারা কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপ দিবসে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পেইন কক্সবাজার সৈকতে প্যারাসেইলিং থেকে ছিটকে পড়লেন স্বামী-স্ত্রী ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব নেতাদের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, ভয়াবহ তাণ্ডবের আশঙ্কা আকাশ ও স্থল পথে ভারতে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলি, বাংলাদেশির মৃত্যু সারাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুখবর

কক্সবাজার জেলায় ৬ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭৫৭ জন।

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
  • / ৯৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজিজ উদ্দিন।।

বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচে-কানাচে জমে থাকা পানিতে এখন এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কক্সবাজার জেলায় ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ১৬৪০ (রোহিঙ্গা) জন এবং ৯২ জন স্থানীয়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬% শিশু, ২১% কিশোর, ৬১% হলো ১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী, ১১% হলো ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী, ১% হলো ৬০ উর্ধ্ব বয়সী। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সাড়ে ৭শ থেকে আটশত রোগী ভর্তি থাকে। সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের সবাইকে স্থান বা সিট দেওয়া সম্ভব হয় না, তাদেরকে বারান্দায় এবং মেঝেতে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, সাধারণত জুন, জুলাই, আগস্টে ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্লক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এখনো নেই। যেসব রোগীরা ভর্তি যোগ্য রোগী তাদেরকে মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ডে অন্য রোগী দের পাশে মশারী দিয়ে আইসোলেট করে চিকিৎসা চলমান রাখা হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত সময়ের চেয়ে এই বছর আরও বাড়তে পারে। তাই এখন থেকে যথাযথ প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যাও।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার ৯ উপজেলার ৫ শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসায় ৫দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্যে নির্দেশনা জারি করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।

অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামনের দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী আরো বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যারা একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশেই বেশি। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট রয়েছে, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার আছে,এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজার জেলায় ৬ মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৭৫৭ জন।

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

আজিজ উদ্দিন।।

বাসা-বাড়ির আঙিনায় কিংবা আনাচে-কানাচে জমে থাকা পানিতে এখন এডিস মশার লার্ভা। ফলে হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে কক্সবাজার জেলায় ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ১৭৫৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ১৬৪০ (রোহিঙ্গা) জন এবং ৯২ জন স্থানীয়। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬% শিশু, ২১% কিশোর, ৬১% হলো ১৯ থেকে ৪০ বছর বয়সী, ১১% হলো ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী, ১% হলো ৬০ উর্ধ্ব বয়সী। এরমধ্যে ৬০ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মুহাম্মদ আশিকুর রহমান বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সাড়ে ৭শ থেকে আটশত রোগী ভর্তি থাকে। সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের সবাইকে স্থান বা সিট দেওয়া সম্ভব হয় না, তাদেরকে বারান্দায় এবং মেঝেতে রাখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, সাধারণত জুন, জুলাই, আগস্টে ডেঙ্গু প্রকোপ বেশি থাকে। ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্লক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে এখনো নেই। যেসব রোগীরা ভর্তি যোগ্য রোগী তাদেরকে মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ডে অন্য রোগী দের পাশে মশারী দিয়ে আইসোলেট করে চিকিৎসা চলমান রাখা হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বিগত সময়ের চেয়ে এই বছর আরও বাড়তে পারে। তাই এখন থেকে যথাযথ প্রস্তুত থাকতে হবে। আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যাও।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলার ৯ উপজেলার ৫ শতাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দাখিল মাদ্রাসায় ৫দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্যে নির্দেশনা জারি করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।

অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সামনের দুই মাসে ডেঙ্গু রোগী আরো বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। যারা একবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে তারা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশেই বেশি। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু ইউনিট রয়েছে, প্রশিক্ষিত নার্স ও ডাক্তার আছে,এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য বিভাগ।