কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৮:৪৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
- / ৯৬৫৮ বার পড়া হয়েছে
আজিজ উদ্দিন।।
নীল জলের সাগর অশান্ত। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। থেমে থেমে বৃষ্টির কসরত। সাগর থেকে তীরে ভিড়েছে পাঁচশোর অধিক মাছ ধরার নৌকা। কারণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে গভীর নিম্নচাপ। যার প্রভাবে সাগর রয়েছে কিছুটা উত্তাল।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে উগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৭.৮° উতর অক্ষাংশ এবং ৮৭.০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১৬ নভেম্বর) দুপুরের পর থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কি:মি: দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি:মি: দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬৫ ও ২৭০ দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিক অগ্রসর ও ঘূণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটি অগ্রবতী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (>_ ৮৯মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮কি:মি: এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় (৫০ থেকে ৬০কি:মি:) পর্যন্ত দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিন্মচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদের পরিচালকের পক্ষে ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।
হামুনের ২৩ দিন পর আবারো সাগর বক্ষে গভীর নিম্নচাপ। যার কারনে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারসহ চার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন বলছেন, গেলো রাত থেকে এখন ৪ থেকে ৬ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখতে বলা হয়েছে। এবং এটি কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্নীঝড়ে রুপ নিতে পারে বলে আশংকা করছে আবহাওয়াবিদেরা আর ঘূর্নিঝড়ে রুপ নিলে এর নাম হবে মিধিলি।