কানাইঘাটের চতুল বাজারে আবারও হত্যা কান্ড //জনমনে আতঙ্ক

- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৯৬৫৬ বার পড়া হয়েছে
সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেটের কানাইঘাটের চতুল বাজারে আবারও হত্যা কান্ডের ঘটনা গঠেছে। এই জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কানাইঘাট উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল উপরবড়াই গ্রামের জয়নাল আবেদিন।
চতুল বাজারের কসমেটিকস ব্যবসায়ী (হৃদয় কসমেটিক্স) আবুল হোসেন ও তার সহযোগী সুফিয়ানের হাতে নিহত হয়েছেন। নিহত জয়নাল আবেদিন কানাইঘাট ভূমি অফিসের সালমান এর পিতা এবং চতুল তহশিল অফিসের নিজাম উদ্দিনের আপন বড় ভাই। নিহত জয়নাল আবেদিন এর একই গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউল হকের ছেলে খুনি আবুল হোসেন এবং আফতাব মিয়ার ছেলে সুফিয়ান।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়- খুনিরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিহতের ছেলে মিশুক রিক্সা চালক সায়েম আহমদকে বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে আক্রমণাত্বক কথা বলেন ও শারীরিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন। খুনি আবুল হোসেন আজ সকাল ৯ ঘটিকার দিকে সায়েম আহমদের মিশুক রিক্সায় উঠে খুনি তার ব্যবসা প্রতিষ্টানে নিয়ে যেতে বলেন। সায়েম আহমদ খুনি আবুল হোসেনকে তার দুকানে নামিয়ে দিয়ে রিক্সা ভাড়া চাইলে খুনি আবুল হোসেন নিহতের ছেলে সায়েম আহমেদকে দুকানের ভিতর থেকে ভাড়া নিতে বলেন।
সায়েম আহমদ ভাড়া নিতে দুকানের ভিতরে গেলে খুনি আবুল হোসেন তার দুকানের দরজা বন্ধ করে দেন এবং খুনির সহযোগী সুফিয়ান সায়েমকে ধরে রাখেন। সায়েম আহমদ প্রাণপণে লড়ে আত্মরক্ষা করে তিনির পিতা নিহত জয়নাল আবেদিন এর নিকট এসে ঘটনা খুলে বললে সকাল অনুমান ১০ ঘটিকার সময় জয়নাল আবেদিন স্থানীয় লোকজন নিয়ে খুনি আবুল হোসেনের দুকানে গিয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করতে চাইলে খুনি আবুল হোসেন রাগান্বিত হয়ে খুনি ও তার সহযোগী সুফিয়ান মিলে নিহত জয়নাল আবেদিন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন।
এসময় আবুল হোসেন নিহত জয়নাল আবেদিনের মাথার পিছনে কাঠের বর্গা দিয়ে জোরে আঘাত করলে চতুল বাজার কামার হাটির ড্রেইনে পড়ে যান, এই অবস্থায় এলোপাতাড়ি আঘাতে প্রচুর রক্ষপাতের কারণে অজ্ঞান হয়ে যান জয়নাল আবেদিন।
এসময় চতুল বাজারের স্থানীয় লোকজন এসে জয়নাল আবেদিনকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আইসিউতে অজ্ঞান অবস্থায় বিকাল ৫ ঘটিকায় মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। প্রশাসনের কাছে নিহতের অসহায় পরিবারের লোকজন সকল আসামীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী চেয়েছেন।