ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন

বাংলাদেশের বার্তা
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৯৬১৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের বার্তা অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পিসি দাস, স্টাফ রিপোর্টার:

৪ দিনব্যাপী এ কর্মশালার গত এক বছরে (২০২১ -২২) অর্থবছরে সম্পাদিত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করা হয় কর্মশালাটি আগামী ১৭ই আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

গম ও ভুট্টার উপর দেশের বিশেষজ্ঞ গবেষকদের উপস্থিতিতে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী বৃন্দ।

কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং এ সকল জাত কৃষকের মাঠে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন মাননীয় সচিব জনাব সায়েদুল ইসলাম, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ডঃ শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, মোঃ ওয়াদুদ নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মোঃ বেনজির আলম, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ড: দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: টিমোথি জে ক্রুপনিক, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, সিমিট, বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন যে কোন মূল্যের দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে, এজন্য তিনি গবেষণার প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও অপ্রচলিত এলাকায় গম ও ভুট্টার সম্প্রসারণের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করার তাগিদ দেন।

দেশে গম মুহুর্তার প্রয়োজনীয় প্রজনন বীজ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন তা এই প্রতিষ্ঠানের নেই। বিশেষ করে ভুট্টার ব্রিজ উৎপাদনের জন্য আইসোলেশন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক জমির প্রয়োজন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সুগার মিলের জমি হতে অন্তত ২০০ একর জমি পাওয়া গেলে বীজ উৎপাদনে জমির অভাব কিছুটা দূর করা সম্ভব হবে বলে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ডঃ গোলাম ফারুক আশা প্রকাশ করেন।

দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের অসামান্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ অর্জন করেছে।

এর আগে বাংলাদেশে ফল আর্মি ওয়ার্ম ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভুট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকার দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব সায়েদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডঃ শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ,নির্বাহী পরিচালক,(অতিরিক্ত সচিব) বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট,মোঃবেনজির আলম মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ডঃদেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ড: টিমোথি জে ক্রুপনিক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, সিমিট বাংলাদেশ।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ দিলরুবা শারমিন, ন্যাশনাল পেস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট। কর্মশালায় মোট চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে ডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহ বিগত তিন বছরের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।

ভুট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম মোকাবেলায় ফর টেনযা দিয়ে বীজ শোধন একটি কার্যকারী উপায় যা, ভুট্টা ফসলকে প্রায় পাঁচ ছয় সপ্তাহ নিরাপদে রাখে। ভুট্টা গাছের ৫-৬ পাতা পর্যায়ে উপরি ক্রয় হিসেবে জৈব বলাই নাশক যেমন ফাউলিজান ব্যবহার করে এ প্রকার দমন করা সম্ভব।

ভুট্টা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ দানাদার ফসল। গবেষকরা এ পোকা দমনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সক্রিয় সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এরপর সন্ধ্যা সাতটায় প্রধান অতিথি মাননীয় সচিব সায়েদুল ইসলাম, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনার পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

http://এইচ/কে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

পিসি দাস, স্টাফ রিপোর্টার:

৪ দিনব্যাপী এ কর্মশালার গত এক বছরে (২০২১ -২২) অর্থবছরে সম্পাদিত গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল উপস্থাপন করা হয় কর্মশালাটি আগামী ১৭ই আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

গম ও ভুট্টার উপর দেশের বিশেষজ্ঞ গবেষকদের উপস্থিতিতে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী বৃন্দ।

কর্মশালায় গম ও ভুট্টার উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং এ সকল জাত কৃষকের মাঠে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় গবেষণা ফলাফলের ভিত্তিতে আগামী বছরের গবেষণা কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা উদ্বোধন করেন মাননীয় সচিব জনাব সায়েদুল ইসলাম, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ডঃ শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, মোঃ ওয়াদুদ নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, মোঃ বেনজির আলম, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ড: দেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: টিমোথি জে ক্রুপনিক, কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, সিমিট, বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন যে কোন মূল্যের দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়াতে হবে, এজন্য তিনি গবেষণার প্রতিটি ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও অপ্রচলিত এলাকায় গম ও ভুট্টার সম্প্রসারণের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করার তাগিদ দেন।

দেশে গম মুহুর্তার প্রয়োজনীয় প্রজনন বীজ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন তা এই প্রতিষ্ঠানের নেই। বিশেষ করে ভুট্টার ব্রিজ উৎপাদনের জন্য আইসোলেশন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অনেক জমির প্রয়োজন বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন সুগার মিলের জমি হতে অন্তত ২০০ একর জমি পাওয়া গেলে বীজ উৎপাদনে জমির অভাব কিছুটা দূর করা সম্ভব হবে বলে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ডঃ গোলাম ফারুক আশা প্রকাশ করেন।

দেশে গম ও ভুট্টার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের অসামান্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ অর্জন করেছে।

এর আগে বাংলাদেশে ফল আর্মি ওয়ার্ম ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ভুট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকার দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব সায়েদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডঃ শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল।

মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ,নির্বাহী পরিচালক,(অতিরিক্ত সচিব) বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট,মোঃবেনজির আলম মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ডঃদেবাশীষ সরকার, মহাপরিচালক,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ড: মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ড: টিমোথি জে ক্রুপনিক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ, সিমিট বাংলাদেশ।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ দিলরুবা শারমিন, ন্যাশনাল পেস্ট ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট। কর্মশালায় মোট চারটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষে ডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহ বিগত তিন বছরের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন।

ভুট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম মোকাবেলায় ফর টেনযা দিয়ে বীজ শোধন একটি কার্যকারী উপায় যা, ভুট্টা ফসলকে প্রায় পাঁচ ছয় সপ্তাহ নিরাপদে রাখে। ভুট্টা গাছের ৫-৬ পাতা পর্যায়ে উপরি ক্রয় হিসেবে জৈব বলাই নাশক যেমন ফাউলিজান ব্যবহার করে এ প্রকার দমন করা সম্ভব।

ভুট্টা বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ দানাদার ফসল। গবেষকরা এ পোকা দমনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সক্রিয় সহযোগিতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এরপর সন্ধ্যা সাতটায় প্রধান অতিথি মাননীয় সচিব সায়েদুল ইসলাম, সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের সাথে উক্ত বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনার পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

http://এইচ/কে